শ্রীমা ভট্টাচার্য, শোলাঙ্কি রায় এবং গৌরব চট্টোপাধ্যায়।
বড় পর্দায় যিশু সেনগুপ্তের পরে ছোট পর্দায় গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘গাঁটছড়া’ বাঁধতে চলেছেন শোলাঙ্কি রায়। সে খবর আগেই দিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। এ বার জানা গেল, যুগলের মাঝে নাকি এসে দাঁড়িয়েছেন শ্রীমা ভট্টাচার্য! তিনিই গৌরবের প্রথম পছন্দ! সৌজন্যে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’র প্রচার ঝলক।
দুই কন্যের কাড়াকাড়ি। কে পাবেন গৌরবকে? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল শোলাঙ্কি ওরফে ‘খড়ি ভট্টাচার্য’-এর সঙ্গে। ‘গাঁটছড়া’ সম্প্রচারের আগে সেই রহস্য ফাঁসে রাজি নন অভিনেত্রী। তবে ধারাবাহিকের ট্যাগলাইন বলছে, ‘কার মনে কে দেয় ধরা, সবই নাকি আগে ঠিক করা!’
ছোট পর্দার পর ‘বাবা বেবি ও’ ছবিতে অভিনয়। তার পরে শোলাঙ্কি ফিরছেন ছোট পর্দায়। বড় পর্দায় থাকলে কি বেশি খুশি হতেন? অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘আমি বড়, মেজ (ওয়েব সিরিজ), ছোট— সব পর্দাতেই সমান স্বচ্ছন্দ। সবেতেই নিজেকে মেলে ধরতে চাই। তাই ছোট পর্দার পরে বড় পর্দায় কাজ করলাম। আবারও মুখ্য চরিত্র হয়ে ছোট পর্দায় ফিরছি। আমি খুশি।’’
তবে শুধু মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের খাতিরেই ‘খড়ি’ হতে রাজি হয়েছেন, এমনটা নয় বলে দাবি অভিনেত্রীর। শোলাঙ্কি জানাচ্ছেন, ‘খড়ি’ বাংলার প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতোই লড়াকু এক মেয়ে। যে হাসিমুখে নিজের পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব বহন করে। খুব ভাল ছবি আঁকে। শিল্পী মনের পাশাপাশি তার তেজস্বিতাও চোখ টানে। শহরের বিখ্যাত হিরে ব্যবসায়ী সিংহরায় পরিবারের বড় ছেলে ঋদ্ধিমানের মুখের উপরে জোর গলায় প্রতিবাদেও পিছপা হয় না। এমন চোখধাঁধানো ব্যক্তিত্বই শোলাঙ্কিকে আকর্ষণ করেছে। তার পাশাপাশি, স্টার জলসার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের ‘গাঁটছড়া’ এবং প্রযোজক স্নিগ্ধা বসুর সঙ্গে সুসম্পর্কও এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের অন্যতম কারণ।
‘কাদম্বিনী’ হয়ে উঠতে নিজেকে অনেক ঘষামাজা করতে হয়েছিল। ‘খড়ি’র জন্যও কি সে ভাবেই প্রস্তুতি? শোলাঙ্কির যুক্তি, ‘‘প্রত্যেকটি চরিত্র তার নিজের মতো করে আলাদা। তাই প্রস্তুতি লাগেই। খড়ি যেমন খুব ভাল আঁকতে পারে। আমারও শখ আঁকা। কিন্তু তুলি ছেড়ে ইদানীং পেন বা পেন্সিলে আঁকি। ফলে তুলি ধরা, তার টান দেওয়া অভ্যাস করতে হচ্ছে। ব্যক্তিত্বময়ী খড়ি মুখের উপরে সপাটে জবাব দেয়। একইসঙ্গে তার মন খুবই কোমল। সেই অনুযায়ী তার চাউনি, বলার ভঙ্গি রপ্ত করতে হচ্ছে।’’ প্রশিক্ষণ নিতে নিতে অভিনেত্রীর ছোটবেলার শখ, আঁকার অভ্যাস ফিরে এসেছে। শোলাঙ্কি তাতে মহা খুশি।
ইতিমধ্যেই তৈরি সিংহরায় পরিবারের বাড়ির জমকালো সেট। জগদ্ধাত্রী পুজো চলছে সেখানে। এই উৎসব-বাড়ি সাজানোর দায়িত্বে খড়ি। সেখানেই সপরিবারে এসেছে সে। শ্রীমা খড়ির ছোট বোন। ঝকঝকে, প্রাণবন্ত এই মেয়েকে দেখেই মুগ্ধ গৌরব ওরফে ‘ঋদ্ধিমান’। গল্পে মোচড়ও সেখানেই। বোনে-বোনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতোই সিংহরায় পরিবারেও রয়েছে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার চোরা স্রোত। দাদার সঙ্গে তাই জোর টক্কর ব্যবসায়ী বাড়ির ‘মেজ ছেলে’ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। তার পর? হাসতে হাসতে শোলাঙ্কি জানিয়েছেন, শ্যুট শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা, ডিসেম্বরেই সব উত্তর নিয়ে হাজির হবে অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের এই নতুন ধারাবাহিক।