‘ফড়িং’ সোহিনীর দ্বিতীয় ছবি।
‘ফড়িং’ এবং সোহিনী সরকার। এই দুইকে যেন আর আলাদা করার উপায় নেই। কারণ ছবি আর তার চরিত্র মিলেমিশে গিয়েছে বহু আগেই। কিন্তু যে ছবি খ্যাতি এনে দিয়েছিল, তাকে ঘিরেই যেন খানিক আফশোস রয়ে গিয়েছে সোহিনীর মনের অন্দরে। আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে সে সব সত্যিই তুলে ধরলেন পর্দার ‘সত্যবতী’। ‘ফড়িং’-এর প্রসঙ্গ উঠতেই অকপটে বললেন, “দু-তিনটে দৃশ্যে মনে হয় খুবই খারাপ অভিনয় করেছি।”
দীর্ঘ দিন ধরে থিয়েটারে অভিনয় করেন সোহিনী। অভিনয়কে ভালবাসেন। মনে করেন, তাঁর দ্বারা অভিনয় ছাড়া আর কিছুই হবে না। সেই ভালবাসা থেকেই বারবার নিজের সবটুকু ঢেলে দেন এক-একটি চরিত্রে। অভিনেত্রী জানান, ‘ফড়িং’-এর সময়েও চরিত্রের স্বার্থেই সাইকেল চালাতে শিখেছিলেন। কিন্তু সেই সাইকেলে সওয়ার হওয়ার তাগিদেই বুঝি অভিনয়ে ঘাটতি হয়েছিল! নিজের সংলাপই ঠিক করে বলে উঠতে পারেননি তিনি। আট বছর পরেও সেই আফসোস এতটুকু ফিকে হয়নি। সোহিনীর কথায়, “সাইকেল চালানোর সময়ে ঠিক ভরসা পাচ্ছিলাম না। তাই সংলাপগুলো ডাবিংয়ের সময় ঠিক করে নিতে হয়। এখন আমি অনেক ভাল সাইকেল চালাতে পারি। তাই সুযোগ পেলে ছবির সেই জায়গাটা পাল্টে ফেলতাম।”
নিজের একটা খুঁত ধরেই অবশ্য থেমে যাননি সোহিনী। মনে পড়ে গিয়েছে আরও একটি দৃশ্যের কথা। খানিক হেসে নিজে থেকেই বলে উঠলেন, “আর একটা ছোট দৃশ্য আছে। যেখানে লাট্টু পেঁপে নিয়ে আসে। আর আমি ওকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাই। ও জল চায়। সেই দৃশ্যে আমি খুব খারাপ অভিনয় করেছি। পরে যত বারই ‘ফড়িং’ দেখেছি, ওই জায়গাটায় পৌঁছে আমি চোখ ঢেকে ফেলি।”
২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ফড়িং’। ইন্ডাস্ট্রিতে তখন একটু একটু করে নিজের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছিলেন মফস্সল থেকে আসা সোহিনী। এক দশক পরেও নিজের ছবি হাতে প্রযোজনা সংস্থাগুলির দোরে দোরে ঘোরার ছবি এখনো টাটকা। এক সময়ে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করে ২০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। সেই স্মৃতি হাতড়েই সোহিনীর কণ্ঠে উচ্ছ্বাস, “টাকাটা পেয়ে প্রথমেই একটি কেকের দোকানে যাই। সঙ্গে আমার দু’জন বন্ধু ছিল। তিন জন মিলে কেক-পেস্ট্রি খাই। মনে হয়েছিল এটাই আমার জীবনের পাওনা।”