সোহিনী এর আগেই বলেছিলেন তাঁর অধিকার বোধ বেশি। ফাইল চিত্র
সোহিনী সরকারের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী আছে? আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ হলে, আমার ভাল লাগবে। আমি মনে করি জীবনে হিংসে করাটা বিশেষ জরুরি। মানে এটা মনে হওয়া দরকার যে, ‘বাবা, ও কী দারুণ করে ফেলল এই কাজটা।’ এই মনে হওয়াটা না থাকলে ঠিক হয় না। তাই আমিও মনে করি কেউ এমন একটা কাজ করুক, যেটা দেখে আমার মনে হয়, আমিও পাল্টা ফাটিয়ে একটা কাজ করি। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে ভালই লাগবে।’’
এর পরেই আসে ‘হিংসুটে’ সোহিনীর কথা। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রচণ্ড হিংসুটে।’’ সোহিনী এর আগেই বলেছিলেন তাঁর অধিকার বোধ বেশি। সেই প্রসঙ্গ তুলে আবারও বললেন, ‘‘আমি একাধারে হিংসুটে ও অধিকারবোধ সম্পন্ন।’’ ষড়রিপুর জাগ্রত উপস্থিতি তাঁর মনে, এমনটাই বলেন সোহিনী। কিন্তু তার আগেই কাজের প্রসঙ্গে নিজের মনের মধ্যে থাকা নিরাপত্তাহীনতার কথাও অকপটে বলেছেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার পরেও তিনি ভোগেন নিরাপত্তাহীনতায়?
সোহিনী বললেন, ‘’আমার সব সময়েই মনে হয়, এর পর কী? একটা সময় মনে হত, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়দের ছবি করব, তার পর ওঁদের সঙ্গে ছবি করলাম। এখন মনে হয় যে এর পর কী? এই জায়গাটা যেন সবসময় নড়বড়ে থাকে। এমনিতেও আমাদের পেশায় তো একটা নিরাপত্তাহীনতার দিক থেকে যায়। যেখানে সব সময়েই মনে হয়, যেটা তুমি পেলে, সেটা বোধহয় তোমার হাতছাড়া হয়ে যাবে। এই একটা ভয় সারাক্ষণ কাজ করে। এটা বলতে আমার দ্বিধা নেই। কী পেলাম সেটা ভাবার থেকে, কী পেয়েছি, আগে, সেটা ধরে রাখতে পারলাম কি না, সেটা ভেবে দেখাটা জরুরি। তাই ১৬ বছর বয়সে প্রথম কাজ করার দিন যেমন ছিল মনের ভাবনাটা এখনও সেটা আছে।’’