লকডাউনে রান্না করেই হাতে কাজ না থাকার অবসাদ ভুলেছিলেন সোহিনী। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
তারকাদের নিয়ে সাধারণের অনন্ত কৌতূহল। তাঁদের ঘিরে অনুরাগীদের প্রশ্নেরও বিরাম নেই।
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় তাই প্রশ্নের বন্যায় ভাসলেন সোহিনী সরকার। সেখানেই এক অনুরাগীর জিজ্ঞাসা, অভিনয় জীবনকে আপন না করলে সোহিনী কোন পেশা বাছতেন? সুবক্তা অভিনেত্রী রসিকতার ছলে জবাব দিয়েছেন-- ‘‘কোনও গুণই নেই আমার! অভিনয় ছাড়া আর কোনও কাজ করতে জানি না। দিন কয়েক শিক্ষকতা করেছিলাম। দেখলাম, যত সহজে জ্ঞান দিতে পারি তত ভাল পড়াতে পারি না। ছোটদের তো একেবারেই নয়।’’
তারকা সত্তা ছাপিয়ে ততক্ষণে প্রকাশ্যে পড়ুয়া সোহিনী। ‘কোনও গুণ নাই তার কপালে আগুন’....— রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের লেখা ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের দেবী-কথা যেন মিশে গিয়েছে অভিনেত্রীর নিজ গুণ বর্ণনায়! ভেবেচিন্তে অবশেষে সিদ্ধান্ত। ‘‘খুব ভাল রাঁধতে জানি। অভিনেত্রী না হলে হয়তো ভাল রাঁধুনি হতাম!’’
লকডাউনে রান্না করেই হাতে কাজ না থাকার অবসাদ ভুলেছিলেন সোহিনী। সে কথাও জানা গিয়েছে শনিবারের আড্ডা থেকে। অভিনেত্রী এ-ও জানিয়েছেন, একটা সময় ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কিছু পরিকল্পনা করেছিলেন। কোনওটাই মেলেনি। অতিমারি আবারও তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণের কথা, ‘যখন যেমন তখন তেমন। যেখানে যেমন সেখানে তেমন।’ সে কথাই এখন তাঁর জীবনের আপ্তবাক্য। আগামীর পরিকল্পনা করা ছেড়ে দিয়েছেন সোহিনী। যে খাতে জীবন বইছে, সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনিও।