রূপঙ্কর, রাঘব, মনোময়, শুভমিতা, শ্রীকান্ত থেকে রূপম, নচিকেতা, সুমন, অনুপম, ইমন, সিধু, সোমলতা, কিংবা শ্রেয়া, অরিজিৎ, সোনু নিগম, সাধনা সরগম, কুমার শানুর মতো কণ্ঠশিল্পী, বাচিক শিল্পী, বাজনদারদের অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নেপথ্যে ছিলেন তিনিই। এটাই তাঁর পেশা।
শিলাজিৎ মজুমদার
‘কী অবস্থা বাংলা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির? মশাই দারুণ সিন, বুঝলেন?’
ঠিক এ ভাবেই ফের সরব শিলাজিৎ মজুমদার। হেতু? মঞ্চানুষ্ঠানের আয়োজক শ্রীজীব চৌধুরী মৃত্যুশয্যায়। তাঁকে প্রাণে বাঁচাতে চাই ২০ লক্ষ টাকা। শিলাজিৎ জানেন, সঙ্গীতমহল এককাট্টা হলে এই টাকা অঙ্ক কিছুই নয়! ইদানীং ২০ লক্ষ টাকায় একটি মার্সিডিজ গাড়িও হয় না। চিকিৎসা-খাতে সেই টাকাও উঠছে না। তাই তাঁর প্রশ্ন, শ্রীজীব কি তা হলে হেরে যাবেন?
বহু বছর ধরে সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে শ্রীজীব। রূপঙ্কর, রাঘব, মনোময়, শুভমিতা, শ্রীকান্ত থেকে রূপম, নচিকেতা, সুমন, অনুপম, ইমন, সিধু, সোমলতা, কিংবা শ্রেয়া, অরিজিৎ, সোনু নিগম, সাধনা সরগম, কুমার শানুর মতো কণ্ঠশিল্পী, বাচিক শিল্পী, বাজনদারদের অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নেপথ্যে ছিলেন তিনিই। এটাই তাঁর পেশা। মঞ্চের পিছনে থাকা মানুষ বলেই কি শ্রীজীবের এত অবহেলা? এই প্রশ্নও করেছেন শিলাজিৎ।
ব্যঙ্গে, কটাক্ষে ‘শিল্প কারখানা’র প্রকৃত ছবি তুলে ধরার পাশাপাশি শিলাজিৎ আহ্বান জানিয়েছেন সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন, সহৃদয় মানুষকে। শিল্পী, অনুষ্ঠান আয়োজকদের পাশাপাশি যাঁদের সাহায্যের হাত জীবনের পথে ফেরাতে পারে শ্রীজীবকে। শিল্পীর কথায়, ‘পারলে বাঁচান একটা মানুষকে। তা হলেই তিনি আর হেরে যাবেন না। আমরা যারা বেঁচে আছি, একটু চেষ্টা করি?’