সিদ্ধার্থ মলহোত্র এবং কিয়ারা আডবাণী। ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক এক বছর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি মরুভূমির মাঝে সূর্যগড় প্রাসাদে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও কিয়ারা আডবাণী। স্বামী-স্ত্রী হয়ে বছর পার করে ফেললেন বলিপাড়ার ‘শেরশাহ’ জুটি। প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে ঘোড়সওয়ারে মত্ত দু’জনে। পড়ন্ত বিকেলে স্ত্রী কিয়ারাকে প্রেমের ইস্তাহার সিদ্ধার্থের।
বরাবরই মিতভাষী। স্বভাবের দিক থেকে শান্ত। ব্যক্তিগত জীবন জাহিরে বিশ্বাসী নন অভিনেতা। যদিও স্ত্রী কিয়ারা অবশ্য সমাজমাধ্যমের তুলে ধরেন জীবনের রোজনামচা। বিয়ের পর কিয়ারা যখন তাঁদের বিয়ের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় প্রকাশ করেন, আপত্তি জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। তবে এক বছরে যেন বদলে গেলেন তিনি। স্ত্রী কিয়ারার সঙ্গে ঘোড়ার পিঠে চড়ে সূর্যাস্ত দেখছেন, এমনই একটি ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘‘যাত্রা নয়, গন্তব্যে পৌঁছনটাই গুরুত্বপূর্ণ, তুমিই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী।’’ ২০২১ সালে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবনীর উপর ভিত্তি করে মুক্তি পেয়েছিল ‘শেরশাহ’। বিষ্ণুবর্ধন পরিচালিত এই ছবিতে প্রথম জুটি বাঁধেন সিদ্ধার্থ মলহোত্র এবং কিয়ারা আডবাণী। জুটি হিসাবে দশর্কের মনেও জায়গা করে নিয়েছিলেন সিড-কিয়ারা। সেই সময় থেকেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। কিছু দিন ডেট করেই সিড-কিয়ারা বুঝে যান যে, তাঁরা একে অপরের সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান। কিয়ারা তাঁর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে সিডের পরিচয় করান। ২০২১ সালে মুম্বইতে সিডের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন কিয়ারা। তার পর ২০২৩ সালে বিয়ে। সিদ্ধার্থকে স্বামী হিসেবে বড্ড খুশি কিয়ারা তাঁর প্রমাণ বিভিন্ন সময় সমাজমাধ্যমের পাতায় দিয়েছেন অভিনেত্রী। কফি উইথ কর্ণের অষ্টম সিজ়নে এসে কিয়ারা বলেন, ‘‘বিয়ে করে আমি সুখী।’’ যদিও স্ত্রীকে নিয়ে কখনওই বিশেষ কিছু বলতে শোনা যায়নি অভিনেতাকে। তবে বছরপূর্তিতে আবেগে ভাসলেন অভিনেতাও।