প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিদ্ধার্থ শুক্ল।
‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকের মাধ্যমেই প্রথম পরিচিতি পেয়েছিলেন প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিদ্ধার্থ শুক্ল। দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজের সুবাদে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল ‘আনন্দী’ এবং ‘শিব’-এর মধ্যে। ২০১৬-য় প্রত্যুষার মৃত্যুর পরেও তাঁর মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সিদ্ধার্থ।
মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে প্রত্যুষার বাবা বলেন, “সিদ্ধার্থ আমার ছেলের মতো ছিল। কিন্তু প্রত্যুষার মৃত্যুর পর প্রচুর মানুষ ওর এবং সিদ্ধার্থের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের কথা বলতে থাকে। তাই সিদ্ধার্থ আমার বাড়ি আসা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে খোঁজ নিত।”
এমনকি লকডাউনের সময়ও প্রত্যুষার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন সিদ্ধার্থ। প্রয়াত সহকর্মীর মা-বাবাকে আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন তিনি। প্রত্যুষার বাবা জানান, সিদ্ধার্থ জোর করে তাঁকে কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের কোনও কিছু প্রয়োজন কি না, প্রত্যেক মুহূর্তে সেই খোঁজও রাখতেন সিদ্ধার্থ। মেয়ের মতোই সিদ্ধার্থও যে অকালে চলে গেলেন, সে কথা মেনে নিতে পারছেন না প্রত্যুষার বাবা।
গত বৃহস্পতিবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন সিদ্ধার্থ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪০। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় প্রত্যুষার। অভিনেত্রীর মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। এখনও তাঁর মৃত্যুকে নিয়ে বিতর্ক কাটেনি।