টোটার আন্তরিকতায় মুগ্ধ ‘ছাত্র’ শাহির।
কেউ জীবনকে সবচেয়ে বড় শিক্ষক মানেন। কারওর কাছে তাঁর প্রথম গুরু তাঁর মা-বাবা। কেউ বয়সে বড় সহ-অভিনেতাদের এই স্থানে বসিয়েছেন। শিক্ষক দিবসে সাধারণের সঙ্গে তারকারাও তাঁদের শিক্ষাগুরুকে সম্মান জানিয়েছেন এ ভাবেই। কিন্তু কোনও শিক্ষককে এমন দিনে ‘স্যর’ থেকে ‘দাদা’য় রূপান্তরিত হতে দেখেছেন? এমন ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটল টোটা রায়চৌধুরীর জীবনে। তাঁর নবীন সহ-অভিনেতা শাহির রাজ টুইটে টোটাকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ফাঁস করলেন অভিনেতার শিক্ষক থেকে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠার নেপথ্য কাহিনি।
বিরসা দাশগুপ্তের ‘মুখোশ’ ছবিতে পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন টোটা আর শাহির। অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অনির্বাণ চক্রবর্তী, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, পায়েল দে-র মতোই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে ছোট পর্দার ‘রোহিত সেন’কে। শাহিরের টুইট বলছে, ছবিতে কাজের মাধ্যমেই অভিনেতার সঙ্গে পরিচয় তাঁর। ছোট-বড় পর্দা, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ-সহ টলিউড-বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাকে তিনি তাই সেটে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেছেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই নাকি সেই ডাক বদলে দিয়েছেন স্বয়ং টোটা। ছাত্রকে তাঁর অবাক প্রশ্ন, ‘‘আমি তোমার অঙ্কের শিক্ষক নাকি যে ‘স্যার’ বলছ?’’ তার পরেই আন্তরিক অনুরোধ, ‘‘দাদা বলে ডাকবে। আর ‘আপনি’ নয় ‘তুমি’ বলো।’’
অভিনেতার আন্তরিকতায় মুগ্ধ ‘ছাত্র’ শাহিরের মতে, ‘এ ভাবেই এক জন সেই অর্থে নতুন অভিনেতাকে সহজ করে দিলেন টোটাদা। খুব ভাল থেকো।’ ছাত্রের এই স্বীকারোক্তিরও জবাব দিয়েছেন তাঁর প্রিয় শিক্ষক। বরাবর মাটির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করা টোটার দাবি, ‘আরে! তুমি আমার সহশিল্পী অর্থাৎ সহযোদ্ধা! তা ছাড়া, আমি কোনও মহা তারকা নই। এক জন সাধারণ অভিনেতা মাত্র।’ ছাত্রের অভিনয়ের প্রশংসা করে তাঁকে অনুপ্রাণিতও করেছেন, ‘তোমার কাজ খুব ভালো লেগেছে শাহির। ভবিষ্যতে আরও বহু ছবিতে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।’