করিনা এবং সইফ।
নেটমাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখেন সইফ আলি খান। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামেও কখনও দেখা মেলে না তাঁর। স্ত্রী করিনা কপূর খানের উপদেশ মেনেই নিজেকে এ সবের থেকে দূরে রাখেন বলে জানিয়েছেন ‘ছোটে নবাব’।
ট্রোলারদের লক্ষ্যের তালিকায় ‘সইফিনা’-র নাম সর্বদাই বেশ উপরের দিকে থাকে। কখনও তাঁদের দুই সন্তানের নাম, কখনও আবার 'তারকা-সন্তান' তকমার জন্য নানা ধরনের ট্রোল-কটাক্ষ ধেয়ে আসে তাঁদের দিকে। এক সময় নেটমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে কী লেখা হচ্ছে, তার নিয়মিত খোঁজ রাখতেন সইফ। নিজেকে নিয়ে কোনও নেতিবাচক মন্তব্য দেখলে তাঁর মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। তখনই করিনা তাঁকে এই নজরদারি বন্ধ করার উপদেশ দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সইফ বলেন, “আমি আর এখন কোনও নেতিবাচক মন্তব্য পড়ি না। আমি নেটমাধ্যম থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছি। তাতে ভালই আছি।” তাঁর আরও সংযোজন, “গুগল করে দেখতেই পারি, কবে আমি কী বলেছিলাম। তার পর হয়তো এমন কিছু একটা পড়ব যে, আমার মন খারাপ হয়ে যাবে। তখনই আমার স্ত্রী আমাকে এই অভ্যাস ত্যাগ করার উপদেশ দেয়।”
করিনার কথা মেনে নিয়েছিলেন সইফ। নেটমাধ্যমে নিজেকে নিয়ে আর কোনও রকম খবর বা লেখা তিনি পড়েন না। সইফ মনে করেন, নেটমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে হিংস্রতা ছড়ানো খুবই সহজ। তাই সেখান থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয় মনে করেন তিনি।