(বাঁ দিক থেকে) অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, শ্বেতা বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
শ্বেতা বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই। বচ্চন পরিবারের এই দুই সদস্যের মধ্যে সম্পর্ক কেমন? এমনিতে বহু পরিবারে ননদ এবং ভাইয়ের স্ত্রীয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কই থাকে। আবার অনেক পরিবারেরই চিত্রটা উল্টো। তবে শ্বেতা-ঐশ্বর্যার সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। শোনা যায় বচ্চনবাড়ির বধূ হিসেবে ঐশ্বর্যাকে খুব একটা পছন্দ ছিল না শ্বেতার। ভাই অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের পর ঐশ্বর্যাকে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে কোন উপদেশ দিয়েছিলেন অমিতাভ-কন্যা?
অভিষেকের সামনেই ঐশ্বর্যার সমালোচনা করেছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন শ্বেতা? মাত্র তিন বছর আগে ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর শোয়ে শ্বেতার কাছে প্রশ্ন করা হয়, ঐশ্বর্যার কোন স্বভাব ভাল লাগে, কোনটা খারাপ, আর কোন স্বভাব সহ্য করে নেন তিনি? শ্বেতা জানান, ঐশ্বর্যা খুব ভাল মা এবং শক্ত মনের মহিলা। যা তাঁর ভাল লাগে। ফোন ধরতে না পারলে পরে নাকি আর পাল্টা ফোন করেন না ঐশ্বর্যা। এমনকি এসএমএসেরও জবাব দিতেও অনেকটা দেরি করেন। আর এই স্বভাবটিই সবচেয়ে অপছন্দ করেন শ্বেতা। আর ঐশ্বর্যার ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট স্কিল’ নাকি তিনি সহ্য করে নেন। এ কথা বেশ কটাক্ষের সুরেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই ঘটনার প্রায় বছর ১৫ আগে যখন ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর দ্বিতীয় সিজ়নে মা জয়া বচ্চনের সঙ্গে এসেছিলেন শ্বেতা। সেই সময় কর্ণ জিজ্ঞেস করেন ভাইয়ের স্ত্রীকে বিবাহিত জীবনে কোন উপদেশ দিতে চান? তখন অবশ্য বৌদির প্রশংসা করেই বলেন, ‘‘কোনও রকমের উপদেশ ওঁর লাগবে না। নিজে যথেষ্ট সক্ষম, সবটা বুঝে নিতে পারবেন। ওঁর ধৈর্য্যশক্তি খুবই বেশি, সেটা ওকে দেখলে বোঝাও যায়।’’ তবে ১৫ বছর বাদে যখন কফির অনুষ্ঠানে আসেন তখন অবশ্য বৌদি ঐশ্বর্যার খারাপ-ভাল নানা দিকের কথাই তুলে ধরেছিলেন শ্বেতা।