শোভনসুন্দর বসু। ছবি- ফেসবুক।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব শিল্পীরা। গান, কবিতা, ছবি বা পথনাটিকার মাধ্যমে অনবরত প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। দুর্গোৎসবের আবহেও তাঁরা প্রতীকী প্রতিবাদ জারি রেখেছেন। যেমন আবৃত্তিশিল্পী শোভনসুন্দর বসুর কণ্ঠে একই সঙ্গে মিলে গিয়েছে দেবী দুর্গা ও আরজি করের নির্যাতিতা। তবে শুধু আরজি করের নির্যাতিতা নয়। দেশ জুড়ে নারীদের উপর হয়ে চলা অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁর এই প্রতিবাদ। জানান শোভনসুন্দর।
এই আন্দোলনের রেশ ছড়ায় বিদেশেও। অগস্টের শেষ সপ্তাহে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত কলকাতার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছিল। শোভনসুন্দরের কণ্ঠে ‘আমিই তিলোত্তমা’ কবিতা আমেরিকার মানুষের প্রতিবাদেও জায়গা করে নিয়েছিল।
সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়, কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ডফোর্ড ও ওহায়োতে বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিবাদ সভায় এই কবিতা আবৃত্তি করেছেন তিনি। কলকাতার রাত দখলের কর্মসূচীও প্রভাব ফেলেছিল বিদেশের মাটিতেও। শোভনসুন্দরের সঙ্গে এই প্রতিবাদ সভাগুলিতে গলা মেলান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা। এঁদের মধ্যে ছিলেন তনিশা রাইমা বসু, শ্রীপর্ণা ঘোষ, নীলাক্ষী চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া।
‘বেঙ্গলি পার্ফমিং আর্টস কনফারেন্স—২০২৪’-এ টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিল শহরের বাঙালিরাও কণ্ঠ মিলিয়ে আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে শিল্পীর সঙ্গে গলা মেলান।
গত ১৪ অগস্ট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, কলকাতার মেয়েদের এই রাত দখলের আন্দোলন। তার ঠিক পরেই, ২২ অগস্ট শোভনসুন্দর আমেরিকায় যান এবং আন্দোলনের আঁতুড় ঘর থেকে তিনি কবিতায় নির্যাতিতার কথা বলেন। তাঁর সেই কবিতা আবৃত্তির আলব্যাম ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ প্রকাশিত হচ্ছে এই প্রথম ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুকে। কবিতাটির সঙ্গে সুর ও তাল যোগ করেছেন রুদ্র সৈকত ও অপূর্ব অধিকারী। সহযোগী কণ্ঠ দিয়েছেন স্বর্ণালী রাহা। অ্যালবামটি প্রকাশিত হচ্ছে ৯ অক্টোবর সকালে, আরজি কর-কাণ্ডের ঠিক দু’মাস পর।