সায়নদীপ সরকার ও রূপসা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য গাঁটছড়া বেঁধেছেন রূপসা চট্টোপাধ্যায় ও সায়নদীপ সরকার। এক বছর আগে আইন মেনে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, ২০২৪-এর ডিসেম্বরে সামাজিক বিয়ে করবেন তাঁরা। কিন্তু তার আগেই বিয়ে সারলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী। পুজোর আবহে চারহাত এক করলেন রূপসা ও সায়নদীপ। বিয়ের ছবি ও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকের একাংশের প্রশ্ন, ‘আশ্বিন মাসে বিয়ে হয় নাকি?’ অথবা ‘কেন আশ্বিন মাসে বিয়ে করলেন রূপসা?’
আনন্দবাজার অনলাইনকে রূপসা জানান, পারিবারিক কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। অভিনেত্রী বলেন, “আসলে অনেকগুলো কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। সেগুলো সারতে হবে। আমার শাশুড়ির পায়ে একটা অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে। সেটা প্রথমে নভেম্বর মাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পায়ের অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় সেই অস্ত্রোপচার আগেই করতে হবে। তাই বিয়ের তারিখও এগিয়ে আনতে হল। কারণ অস্ত্রোপচার হওয়ার পরে বিয়ে করলে, তিনি কোনও ভাবেই যোগ দিতে পারবেন না। এটা একটা অন্যতম কারণ বিয়ের তারিখ এগিয়ে আনার।”
তবে আশ্বিন মাসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুরোহিতের সঙ্গে আলোচনা করা হয় বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বিয়ের জন্য বিশেষ দিন খুঁজে বার করা হয়, জানান রূপসা। তাঁর কথায়, “আমরা পুরোহিতের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিই। কিছু বিশেষ দিন পঞ্জিকাতেই পাওয়া যায়। তাড়াহুড়ো থাকলে এই তারিখে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। দেখা যায় মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদেই একটা ভাল দিন রয়েছে।”
পুজোর সময়েই আলাপ হয়েছিল রূপসা ও সায়নদীপের। তাই পুজোর সময়েই প্রেমিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পেরে খুশি অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের প্রেমও শুরু হয়েছিল পুজোর সময়ে। তাই সবাই বিয়ের দিনটা নিয়ে খুশি ছিল। এটাই আমাদের ভাগ্যে হয়তো লেখা ছিল। এমন কিছু বিষয় থাকে যার ব্যাখ্যা দেওয়া মুশকিল, মহাজগৎ থেকে কোনও কোনও ইঙ্গিত আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়।”
পুজোর আবহেই বিয়ে। তাই এখনও বিয়ের নিয়মকানুন ঘিরেই সময় কাটছে রূপসার। অভিনেত্রী বলেন, “সায়ন নতুন কাজে যোগ দিয়েছে। কাল থেকেই ওর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন দু’-তিন দিন ওকে যেতেই হচ্ছে। এ ছাড়া বিয়ের উপহারগুলোই এখনও খুলে দেখা হয়নি।”
সায়নদীপের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়। সেই পুজো সেরেই বেড়াতে যাচ্ছেন নবদম্পতি। তবে এটা তাঁদের মধুচন্দ্রিমা নয়। তিন দিনের ছুটি পেয়েছেন সায়নদীপ। তখন সিকিম বেড়াতে যাবেন তাঁরা। পরে সময় পেলে লম্বা ছুটিতে মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।