শেহনাজ় গিল। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরণ ঘটেছে শেহনাজ় গিলের। ছোট পর্দার রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস্’-এর মাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান পঞ্জাবের এই কন্যা। তার পর বেশ কিছু মিউজ়িক ভিডিয়োতে দেখা যায় তাঁকে। তার পর সোজা সলমন খানের ছবিতে সুযোগ! ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এর মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। এ বার আসতে চলেছে তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফর কামিং’। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা উত্তরণ। পথটা সোজা ছিল না শেহনাজ়ের। মাশুল গুনতে হয়েছে বেশ কিছু।
২০১৯ সালে ‘বিগ বস’-এই টেলিভিশন তারকা সিদ্ধার্থ শুক্লর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেহনাজ়ের। সেখান থেকেই গভীর বন্ধুত্ব, প্রেমও। যদিও প্রেমের জল্পনায় কখনও সিলমোহর দেননি তাঁরা কেউই। তবে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সিদ্ধার্থের আকস্মিক মৃত্যুর পর অনেকটা বদলে গিয়েছেন শেহনাজ়। ব্যক্তিগত জীবন নয়, বরং নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছেন কাজের মধ্যে। কাজই যেন এক নম্বর প্রাধান্য তাঁর জীবনে। যখন ‘বিগ বস্ ১৩’-এ অংশগ্রহণ করেন সেই সময়ের শেহনাজ় ও এখনকার এই তন্বীর মধ্যে বিস্তর ফারাক। তবে যেটা সকলের চোখে পড়ার মতো, সেটি হল মাত্র কয়েক বছরেই ওজন ঝরিয়ে ছিপছিপে হয়েছেন তিনি। তবে রোগা হওয়ার পর যেন অনুরাগীদের চক্ষুশূল হতে হল তাঁকে। সকলেরই প্রায় একমত যে বিষয়ে, আগের শেহনাজ়ই ভাল ছিল। এ কথা নিজেও মানেন অভিনেত্রী। কিন্তু তিনি নিরুপায়। বলিউডে কাজ পেতে গিয়েই রাতারাতি নিজের মেদ ঝরিয়ে ফেলেছেন অভিনেত্রী। এখন আর পুরনো শেহনাজ় হতে চান না বলেই জানালেন তিনি। তবে কেন পুরনো চেহারায় ফিরতে চান না? শেহনাজ়ের কথায়, ‘‘বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে ওজন কমাতেই হবে। না হলে পোশাকশিল্পীদের নামী-দামি পোশাকে নিজেকে ফিট করানো সম্ভব হবে না।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি যদি এই ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কেউ হতাম, যদি সাধারণ একটা মেয়ে হতাম, তা হলে কখনওই ওজন কমাতাম না। আমারও তেমনই মেয়ে পছন্দ, যাঁর শরীরে মেদ রয়েছে। যে খেতে ভালোবাসে। কিন্তু এখন আমি আর আগের শেহনাজ়ে ফিরতে চাই না। কারণ আমিই জানি কী কষ্ট করে এই চেহারা এনেছি।’’