অভিষেক-ঐশ্বর্যা বিয়ে উপলক্ষে অমিতাভের পাঠানো মিষ্টি কেন ছুঁয়ে দেখেননি শত্রুঘ্ন? ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ২০০৭-এ গাঁটছড়া বাঁধেন এই দুই তারকা। এখনকার মতো তখন ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর তেমন চল ছিল না। মুম্বইয়ে বচ্চন হাউস ‘প্রতীক্ষা’র অন্দরেই বসেছিল সেই বিয়ের আসর। কিন্তু সেই হেভিওয়েট বিয়েতে বলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি, এর মধ্যে ছিল শত্রুঘ্ন সিনহার নামও।
এক সময় একের পর এক ছবি করেন অমিতাভ বচ্চন ও শত্রুঘ্ন। সব ছবিই প্রায় সুপারহিট। তবে একদা সহ-অভিনেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলেই কি নিমন্ত্রণ পাননি শত্রুঘ্ন! নিমন্ত্রণ না করলেও বিবাহ পর্ব মিটতেই কার্ড ও মিষ্টির বাক্স পাঠানো হয় শত্রুঘ্ন-সহ অন্য অতিথিদের বাড়িতে। কিন্তু সেটা একেবারে পত্রপাঠ বিদায় করেন শত্রুঘ্ন। যদিও অমিতাভের কাছে পরে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, বিগ বি এই যুক্তি মানতে একেবারেই নারাজ ছিলেন। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “আমি চেয়েছিলাম, আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানকে একেবারেই গোপন রাখতে। আর তা ছাড়া আমার মা-ও সে সময় খুবই অসুস্থ ছিলেন। যে বা যাঁরা আমাদের নিমন্ত্রণ না পেয়ে ভুল বুঝেছিলেন তাঁরা আদতে আমার বন্ধুই নন।” যদিও মিষ্টির বাক্স নিতে অস্বীকার করার সপক্ষে শত্রুঘ্নের যুক্তি ছিল, “যখন বিয়েতে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেনি, তখন মিষ্টি পাঠানোর কী দরকার?’’
অতীতে ‘কফি উইথ কর্ণ’ শোয়ে এসে এই প্রসঙ্গে অভিষেক বচ্চনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “শত্রুঘ্নকাকু মিষ্টি ফেরত পাঠিয়েছেন বলে মোটেও খারাপ লাগেনি। তাঁর আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এ ব্যাপারে। থাকতেই পারে। আমরা সকলকে সন্তুষ্ট করতে পারব না।” তবে কানাঘুষোয় শোনা যায় সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনের থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হওয়ায় নাকি বচ্চনদের বাড়ির নিমন্ত্রণ তালিকা থেকে বাদ পড়েন শত্রুঘ্ন।