মঙ্গলবার নিজেদের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ফিরেছেন সইফ আলি খান ও করিনা কপূর। ছবি: সংগৃহীত
পাঁচ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে মঙ্গলবার যখন বাড়ি ফিরলেন সইফ আলি খান, তখন তাঁর গাড়িতে ছিলেন না স্ত্রী করিনা কপূর খান। আগেই ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, করিনা গাড়ির ভিতর কারও সঙ্গে বিরক্ত হয়ে কথা বলছেন। কিন্তু সইফ হাসপাতাল থেকে বেরোনোর আগেই কোথায় চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী? এ প্রশ্ন উঁকি গিয়েছে অনেকের মনে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, সৎগুরু শরণ আবাসনে ফিরবেন না সইফ। বরং যাবেন পাশের একটি ফ্ল্যাটে, যেখানে ২০২১ সাল পর্যন্ত থাকতেন সইফ-করিনা। কিন্তু মঙ্গলবার সইফ ফিরলেন সৎগুরু শরণেই। তবে তিনি একা। গত সপ্তাহে আক্রান্ত হওয়ার পরেও রক্তাক্ত অবস্থায় পায়ে হেঁটে অটোয় গিয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা। ফিরলেনও সেই নবাবের মেজাজে। এ দিন তাঁর পরনে ছিল সাদা শার্ট, ডেনিম প্যান্ট। বাঁ হাতের কব্জিতে বাঁধা ছিল ব্যান্ডেজ। ছোট করে ছাঁটা চুল ও পরিষ্কার করে কামানো দাড়ি। এই ভাবেই সোজা হেঁটে বাড়িতে ঢুকেছিলেন অভিনেতা। হাসিমুখে হাত নেড়েছিলেন ছবিশিকারিদের উদ্দেশে। সইফ বাড়ি ফেরার আগেই নিজের বাড়িতে চলে এসেছিলেন করিনাও। স্বামীর জন্য বিশেষ আয়োজনও সেরে রেখেছিলেন তিনি।
সিংহবিক্রমে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সইফ। সেই সময়ে তাঁর শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল ছুরি। আঘাত ছিল হাতে ও ঘাড়়েও। রক্ত ভেসে যাচ্ছিল। সাদা পাঞ্জাবি লাল হয়ে গিয়েছিল রক্তে। হাসপাতাল থেকে ফেরার সময়ও তাঁর চলাফেরায় চোখে পড়েনি সামান্য অস্বস্তিও। বীর দর্পে হেঁটে বাড়িতে প্রবেশ করেছেন তিনি।
নবাবকে স্বাগত জানাতে এ দিন বাড়ি ফুল ও আলো দিয়ে সাজিয়েছিলেন করিনা। সন্ধ্যায় ছিল বিশেষ আয়োজনও। সইফ-করিনা থাকেন ‘সৎগুরু শরণ’ বহুতলের ১২ তলায়। সন্ধ্যা হতেই সেই বাড়ির বারান্দা ঝলমল করে ওঠে। বাইরে থেকে সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন ছবিশিকারিরা। সেই ছবি ভাইরালও হয় সমাজমাধ্যমে। আন্দাজ করাই যায়, পরিবারের ‘হিরো’ ঘরে ফিরতেই তাঁকে স্বাগত জানাতে মেতে উঠেছিলেন সকলে।
গত সপ্তাহেই তাঁর বাড়িতে মধ্য রাতে হামলা করেন এক দুষ্কৃতী। চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই শরিফুল নামের এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিলেন। সইফ বাধা দিতে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন শরিফুল। ছ’বার ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করেন অভিনেতাকে। অবশেষে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সইফ।