‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ ছবিতে শাম্মি কপূরের সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত।
স্বল্পবসনা সিক্ত নায়িকাদের তো আজকাল হামেশাই দেখা যায় বলিউডি পর্দায়। তবে কয়েক দশক আগেও ছবিটা অন্য রকম ছিল। ষাট-সত্তরের দশকের পর্দায় ক’জন ‘সাহসী’ নায়িকা বিকিনিতে ধরা দিয়েছেন? জবাব দিতে গেলে প্রথমেই ঠাকুর-কন্যার নাম বলবেন অনেকে।
হ্যাঁ! অনেকেই সায় দেবেন, শর্মিলাই প্রথম অতটা ‘খোলামেলা’ ভাবে বলিউডে ঝড় তুলেছিলেন। যদিও তিনিই যে প্রথম বার বিকিনি পরে হিন্দি ছবির পর্দায় এসেছিলেন, এমন নয়। পঞ্চাশের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা নলিনী জয়ন্তও সে ‘সাহস’ দেখিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালের ‘সঙ্গম’-এ। সে ছবিতে অশোক কুমারের পাশে ‘উলফৎ কি জাদু’ গানের দৃশ্যে রোদচশমা আর বিকিনিতে চমকেও দিয়েছিলেন অনেককে। পরের বছর নার্গিসকে দেখা গিয়েছিল ‘আওয়ারা’য়। তবে অনেকের দাবি, সেটি স্বল্পবাস হলেও বিকিনি বলা যাবে না। সত্তরের দশকে নুতনও এসেছিলেন পিঠখোলা বিকিনিতে। ‘ইয়াদগার’ ছবিতে। তার কয়েক বছর আগে অবশ্য পর্দায় ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে দিয়েছিলেন শর্মিলা।
১৯৬৬ সালে একটি সিনেমা-পত্রিকায় ‘কভার গার্ল’ হিসাবে প্রথম বার ‘টু-পিস’ পরে প্রকাশ্যে আসেন শর্মিলা। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৬৬ সালে একটি সিনেমা-পত্রিকায় ‘কভার গার্ল’ শর্মিলা প্রথম বার প্রকাশ্যে আসেন ‘টু-পিস’ পরে। তবে সে তো স্থিরচিত্র! পরের বছর বিকিনিতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বড়পর্দায়। শাম্মি কপূরের সঙ্গে শক্তি সামন্তের ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’-এ।
সে সময়কার ‘সাহসী’ শর্মিলাকে দেখতে সিনেমা হলে নাকি বেজায় ভিড় জমেছিল। কালে কালে বলিপাড়ায় অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। আজকাল বিকিনি পরা নায়িকাদের নামের সঙ্গে ‘সাহসী’ তকমা এঁটে দেওয়াটা বাড়াবাড়ি বলে মনে হতে পারে। তবে ষাটের দশকে শর্মিলা যে বেড়া ভেঙেছিলেন, তা মেনে নেন বহু বলি-পণ্ডিত!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।