শৈবালের ‘চিত্রকর’ পাড়ি দিচ্ছে আমেরিকায়
২০১৭-তে রং-তুলির দুনিয়ার গল্প শুনিয়েছিলেন শৈবাল মিত্র। তাঁর ‘চিত্রকর’ ছবিতে। রঙে-রেখায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন ২ কিংবদন্তি চিত্রকর বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় এবং মার্ক রথকোর জীবনের দু’টি ছোট ঘটনা। অতিমারি যখন বিশ্বের সমস্ত শিল্প আঙিনায় কালো ছায়া ফেলেছে, কাকতালীয় ভাবে শৈবালের ‘চিত্রকর’ তখনই বিশ্বজনীন! আনন্দবাজার ডিজিটালকে পরিচালক জানিয়েছেন, ১১ জুন আমেরিকা এবং ইংলন্ড এক সঙ্গে দেখতে পাবে তাঁর সেই ছবি। সৌজন্যে পজ় টিভি। আরও সুখবর, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেখা যাবে ছবিটি।
শৈবালের কথায়, ২০১৭ সালে ছবিটি প্রথম দেখানো হয় ইন্ডিয়ান প্যানোরমায়। পরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও ‘চিত্রকর’ দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল। সেই সময় আনন্দবাজার ডিজিটালকে পরিচালক জানিয়েছিলেন, সৃষ্টির জন্য শিল্পীর মানসচক্ষুই শেষ কথা। আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী বিনোদবিহারীর জীবন সে কথাই বলেছিল। কিন্তু কখনও তাঁর জীবনের কথা কেউ সে ভাবে বলেননি। একমাত্র সত্যজিৎ রায় ছাড়া। তিনি তাঁর তথ্যচিত্র ‘ইনার আই’তে বিনোদবিহারীকে ক্যানবন্দি করেছিলেন। ‘চিত্রকর’-এ অন্ধ চিত্রকর বিনোদবিহারীর নাম 'বিজন বসু'। চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় তাঁকে ছবি আঁকতে সাহায্য করেছেন 'তিথি' ওরফে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও আছেন দেবদূত ঘোষ, শুভ্রজিৎ দত্ত, অরুণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
শৈবালের কথায়, এই ছবিতে অর্পিতা, শুভ্রজিৎ, ধৃতিমান নিজেদের গলায় গানও গেয়েছেন। বিনোদবিহারীকে জীবন্ত করতে দিনের পর দিন প্রবীণ অভিনেতা খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করেছেন রবীন্দ্রগানের জনপ্রিয় অন্ধ শিল্পী স্বপন গুপ্তকে। পাশাপাশি, শিল্পীর হাতের তুলির টানে যাতে জীবন্ত হয় তার জন্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্রের সাহায্যও নিয়েছিলেন। ব্যবহার করেছেন শিল্পীর আঁকা এবং হাতে তৈরি নানা ভাস্কর্য।