আগামী ৬ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার ফতোয়া কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’র বিরুদ্ধে। ছবি মুক্তির আগেই তা নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’-র সভাপতি হরজিন্দর সিংহ ধামি। বুধবারই তিনি ছবিটি নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিচ্ছিন্নতাকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে এখানে। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে।
শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই ‘শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই এটি প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। এমনিতেই কঙ্গনা শিখ-বিরোধী, পঞ্জাবি-বিরোধী মন্তব্য করে একাধিক বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের মন্ডী কেন্দ্রের সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
হরজিন্দরের অভিযোগ, কঙ্গনা পরিচালিত ও অভিনীত ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটিতে শিখ সম্প্রদায়কে ঘাতক হিসেবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। যা তাঁদের মূল্যবোধে আঘাত করছে। তিনি দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের জুন মাসের জাতি সংঘর্ষে নিহত জারনাইল সিংহ ভিন্দ্রনওয়ালেকে শহিদের মর্যাদা দিয়েছে ‘অকাল তখ্ত সাহিব’। কিন্তু এই ছবিতে তাঁর চরিত্রহননের চেষ্টা করা হয়েছে।
হরজিন্দরের দাবি, সাংসদ অভিনেত্রী প্রায়ই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মূল্যবোধে আঘাত করে থাকেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না সরকার। এই বার কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন তাঁরা। শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার দাবিও তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, আগেও বহু চলচ্চিত্রে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। তিনি জানান, এর আগে বহু বার ‘শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’-এ শিখ সম্প্রদায়ের এক জন প্রতিনিধি থাকেন। সেই মর্মে আবেদনও করা হয়। কিন্তু কেন্দ্র সে কথা কানে তোলেনি বলে অভিযোগ। এ বার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, যেন ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।