জলসা অরিজিনালসের নিবেদন ‘ব্যাপিকা বিদায়’।
জমে গিয়েছে স্টার জলসার থিয়েট্রিক্যাল সিনেমা। শীতের মরসুমে যাঁরা উৎসবের ওম খোঁজেন, করোনাকালে তাঁদের জন্য জলসা অরিজিনালসের নিবেদন চারটি কিংবদন্তি থিয়েটার-সিনেমা। একই অঙ্গে দুই রূপের মতো। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নিডাস প্রোডাকশন নতুন আঙ্গিকের এই বিনোদনের জন্য বেছে নিয়েছে ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’, ‘ব্যাপিকা বিদায়’, ‘জয় মা কালী বোর্ডিং’ এবং ‘শ্রীমতী ভয়ঙ্করী’র মতো চারটি কিংবদন্তি নাটক। যারা বড় পর্দাতেও জনপ্রিয় সমান ভাবে। পরিচালনায় কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’ দেখানো হয়েছে ১৫ নভেম্বর। ২২ নভেম্বর, রবিবাসরীয় দুপুর ২টোয় দেখানো হবে রমকম ( রোমান্টিক কমেডি) ‘ব্যাপিকা বিদায়’।
মিসেস পাকড়াশি নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তিনি স্বামীদের আঁচলে বেঁধে রাখাতেই নারী জীবনের সার্থকতা দেখেন। কিন্তু কপালগুণে তাঁর মেয়ে তাঁর মেয়ে মিনি-ই পতিব্রতা! মেয়ের বাড়িতে এসে সেই সব দেখে চক্ষুস্থির তাঁর।
মেয়েকে শোধরাতে কী করবেন মিসেস পাকড়াশি?
বড় পর্দায় এই চরিত্রে দাপিয়ে অভিনয় করেছিলেন গীতা দে। ‘মিনি’ সোমা দে। তাঁর স্বামী ‘পুষ্পবরণ রায়’ শমিত ভঞ্জ। জলসা মুভিজে এই তিন প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে বিদীপ্তা চক্রবর্তী, অনন্যা সেনগুপ্ত আর প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
রবিবার দুপুর ২টোয় দেখানো হবে রমকম ( রোমান্টিক কমেডি) ‘ব্যাপিকা বিদায়’।
বিদীপ্তা এবং প্রান্তিক ভীষণ খুশি তাঁদের চরিত্র পেয়ে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে বিদীপ্তা বললেন, ‘‘বুম্বাদা আর পরিচালক একদম ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে আমায় ডাকলেন। এই ধরনের চরিত্রে এর আগে কেউ ডাকেননি। আদ্যন্ত রমকম স্বাদের চরিত্র মানেই মন ফুরফুরে। তাছাড়া, মঞ্চ আমার প্রথম প্রেম। সেই ফ্লেভারটাও রয়েছে।’’
মিসেস পাকড়াশি কোনও ভাবে প্রভাবিত করল বিদীপ্তাকে? ‘‘একেবারেই না। আমি চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত’’ হাসতে হাসতে উত্তর বিদীপ্তার।
ভয় পেয়ে করলে কোনও কাজ যে এত ভাল হতে পারে জানা ছিল না প্রান্তিকের। বললেন, ‘‘শুনেছি শমিত ভঞ্জ অভিনয় করেছেন। দেখিনি ইচ্ছে করেই। যাতে আমার অভিনয়ে কোনও ছাপ না পড়ে।’’ একই সঙ্গে নতুন আঙ্গিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে রীতিমতো নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন। রাত জেগে ছাদে নিজের সঙ্গে নিজেই মহড়া দিয়েছেন। সবার সহযোগিতায় উৎরে গিয়েছেন অবশেষে, অকপট স্বীকারোক্তি প্রান্তিকের।