গত পাঁচ বছরে বিক্রম সায়ন্তনীর বন্ধুর থেকে বেশি হয়ে উঠেছেন।
হঠাৎই শহর থেকে উধাও হয়েছিলেন সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা। তিলোত্তমা ছেড়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজধানীতে।
অভিনেত্রীর আচমকা শহর-ত্যাগ নিয়ে চর্চাও চলেছিল। চর্চার কারণও ছিল। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ফেসবুক বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতেই নাকি ওমিক্রনের ভয় ভুলে দিল্লি দৌড়েছিলেন তিনি। কার জন্য এ ভাবে একা একা সেখানে পৌঁছে গেলেন সায়ন্তনী? ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরতেই যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। শুনে হাসি চাপতে পারেননি অর্ণব মিদ্যার আগামী সিরিজ এবং ছবির নায়িকা সায়ন্তনী। তাঁর কথায়, ‘‘ফেসবুকে আলাপ। পাঁচ বছরের বন্ধুত্ব। আমরা কেউ কাউকে চোখে দেখিনি। কিন্তু নিয়মিত কথা হয়। দিল্লিতে বাড়ি। হঠাৎই আমন্ত্রণ। এ বার আর ডাক এড়াতে পারিনি। এই প্রথম মুখোমুখি হলাম তার।’’
কার? নায়িকা এবং নতুন প্রযোজকের ভাষায় তাঁর ‘হাফ বয়ফ্রেন্ড’ বিক্রম শর্মার। গত পাঁচ বছরে যিনি সায়ন্তনীর বন্ধুর থেকে বেশি। প্রেমিকের থেকে একটু কম! দিল্লির বাসিন্দা বিক্রম পঞ্জাবি হলেও এত দিন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। ২০১৫-য় ভারতে এসেছেন। রাজধানীতেই মা-বাবা, ঠাকুমার সঙ্গে থাকেন। পেশায় মডেল-অভিনেতা। বলিউড, তামিল, তেলুগু ইন্ডাস্ট্রি অর্থাৎ দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ায় রাজপাট তাঁর। হাসিখুশি, উচ্ছ্বল এই পঞ্জাবি পরিবারে দিন কয়েকের অতিথি হয়েছিলেন সায়ন্তনী। নিজের বাড়ির মত নিয়েই ছিলেন বিক্রমদের বাড়িতে!
যে ক’টা দিন দিল্লিতে ছিলেন, হুল্লোড়-আড্ডা, পঞ্জাবি খানার পাশাপাশি দিল্লির অলিতে গলিতে ঘুরেছেন চুটিয়ে। সায়ন্তনীর কথায়, অদ্ভুত সম্পর্ক তাঁর আর বিক্রমের। টানা ক’দিন কথা বলার পরে আচমকাই চুপ হয়ে যেতেন তাঁরা। ফেসবুকে কারওরই আর পাত্তা নেই। আবার আচমকাই উদয় হতেন। অথচ অভিনেত্রীর সমস্ত সমস্যার সমাধান নাকি নিমেষে করে দেন বিক্রম। সায়ন্তনীর মন খারাপ? মন ভাল করার দায়িত্বও বিক্রমেরই। অথচ, মডেল-অভিনেতা নাকি বেশি কথার মানুষ নন। তার পরেও তাঁকে চোখ-কান বুজে ভরসা করেন নায়িকা। সায়ন্তনীর দাবি, ‘‘অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও আমি আজীবন বিক্রমের সঙ্গে এ ভাবেই মিশব। কথা বলব। আমার সব কিছু ভাগ করে নেব।’’
সায়ন্তনীর কথায়, ‘হাফ বয়ফ্রেন্ড’-এর থেকেও নাকি বেশি আমুদে তাঁর বাড়ির লোক। তাই দিল্লি থেকে ফেরার সময়ে শর্মা পরিবারের জন্য প্রচন্ড মন কেমন করেছিল কলকাতার কন্যের। আসার সময়ে অভিনেত্রীর দু’হাত উপহারে ভরে দিয়েছেন পরিবারের সবাই। বিক্রমের পরিবারের তরফে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রুশে বোনা ক্রপ টপ, পিতলের দুর্গা মূর্তি-সহ আরও অনেক কিছু। ভবিষ্যতে এই ‘সম্পর্ক’কে কী নাম দেবেন সায়ন্তনী? পাঁচ বছর পরেও বুঝে উঠতে পারেননি নায়িকা! বিক্রমের সঙ্গেই সাত পাক ঘুরবেন? আপাতত পেশা, অভিনয়ের বাইরে আর কিছুই ভাবতে রাজি নন ‘অ্যাওয়েটিং’-এর ‘সুনন্দা’।