অভিনেত্রী সানা খান
অভিনয় জগত থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন সানা খান। ১৫ বছরের সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে ইতি টেনে ইসলাম নির্দেশিত ধর্মীয় জীবনের পথ বেছে নিয়েছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। গত ২১ নভেম্বর সুরতের মুফতি অনস নামক মুসলিম ধর্মগুরুকে বিয়ে করার পরে আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। নেটাগরিকদের কারও প্রশ্ন ছিল, ‘সানা, আপনি কি ভাল কাউকে পেতেন না’? কেউ দাবি করেছিলেন, ‘সানা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন’ ইত্যাদি।
এখনও কটাক্ষ তাঁর পিছু ছাড়েনি। সম্প্রতি তাঁর একটি ছবি দেখে তাঁকে বলা হয়েছে, ‘হিজাবে মুখ লুকোনোর জন্য শিক্ষার কোনও দরকার ছিল না’। ছবিতে তিনি একটি কফির কাপ হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন। মাথায় তাঁর হিজাব। পরনে কালো বোরখা। ছবিটি তুলেছেন তাঁর স্বামী মুফতি অনস। ছবির তলায় সানা লিখেছেন, ‘মানুষকে ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। আল্লাহ যাঁকে ভালবাসেন, তাঁকে সম্মান দেন, যাঁকে ভালবাসেন না, তাঁকে পাত্তা দেন না’।
কিন্তু তাঁর সেই ছবির তলায় এমন মন্তব্য দেখে চুপ থাকেননি অভিনেত্রী। জবাবে লিখেছেন, ‘আল্লাহের আশীর্বাদেই আমি পড়াশোনা শেষ করেছি’। তাঁর মতে, যদি হিজাব পরেও তিনি নিজের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, যদি হিজাব পরেও এত ভাল পরিবারে বিয়ে হতে পারে, এত ভাল স্বামীর সঙ্গ পান তিনি, তবে এই জীবন থেকে আর কিছুই চান না সানা। তিনি মনে করেন, আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করেছেন এত দিন ধরে। তাই এখানে পরাজয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়ালাম ভাষায় একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে সানাকে। ২০১২ সালে রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণ করে মুম্বই নগরীতেও জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী। এর পর সলমন খানের ‘জয় হো’, ‘ওয়াজা তুম হো’, ‘স্পেশ্যাল অপস’, ইত্যদিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সানা। আশ্রয়হীন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে কর্তব্য বলে মনে করেন অভিনেত্রী। পরলোককে সুখময় করার জন্য পার্থিব জীবনে পুণ্য অর্জন করার কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানান, ইসলাম-নির্দিষ্ট পথেই তিনি চলতে চান।