মুফতি আনাস সঈদ-সানা খান। ছবি: সংগৃহীত।
টেলিভিশন দুনিয়া ও বলিউডে তখন পরিচিত মুখ তিনি। আস্তে আস্তে বাড়ছে তাঁর জনপ্রিয়তা। ঠিক সেই সময় ধর্মের জন্য বিনোদনের দুনিয়া ছাড়েন অভিনেত্রী সানা খান। ‘বিগ বস ৬’-এর প্রতিযোগী ছিলেন সানা। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মুফতি আনাস সঈদের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সানার স্বামী মৌলবী এবং ইসলাম ধর্মের গবেষক। বিয়ের পরেই নায়িকাসুলভ হাবভাব ও জাঁকজমক ত্যাগ করেন সানা। ঝলমলে পোশাক ছেড়ে ধারণ করেন হিজাব। বিয়ের তিন বছরের মাথায় সন্তানসম্ভবা হন সানা। চলতি বছরেই প্রকাশ্যে আসে সেই খবর। গত কয়েক মাসে একাধিক বার সেই অবস্থায় দেখাও পাওয়া গিয়েছে প্রাক্তন অভিনেত্রীর। জুলাই মাসে অবশেষে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন সানা। সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই খবর সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি পোস্ট করে পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার খবর দেন সানা। ওই পোস্টে কোরানের কয়েকটি লাইন উল্লেখ করে সানা লেখেন, ‘‘প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন সন্তানের স্বার্থে আমাদের আরও খেয়াল রাখেন। তাঁর উপহার সবচেয়ে সুন্দর। তিনি যখন উপহার দেন, তখন হৃদয় থেকে আশীর্বাদ করেন। তাঁর আশীর্বাদেই আমরা পুত্রসন্তানের মা-বাবা হয়েছি। আপনাদের সবার শুভকামনায় আমাদের এই পথ চলা আরও সুগম হয়েছে।’’
গত এপ্রিল মাসে বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে স্বামী আনাস সঈদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সানাকে। কালো বোরখা পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সানা। সেই পার্টিতেই দেখা যায়, গর্ভবতী সানাকে টেনে-হিঁচড়ে সেখান থেকে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বামী। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় নিন্দা। তার পরে অবশ্য স্বামীর হয়ে মুখ খুলেছিলেন সানা। জনসমক্ষে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর এই আচরণ আদৌ নির্মম নয়, বরং তাঁদের গভীর দাম্পত্যের নিদর্শন।