বুধবার বিমানবন্দরে শাহরুখ খান। ছবি : সংগৃহীত।
মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎই খবর আসে, নাকে চোট পেয়েছেন শাহরুখ খান। আমেরিকায় শুটিং সেটেই নাকি ঘটে দুর্ঘটনা। চোটের কারণে শুরু হয় রক্তপাত। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অস্ত্রোপচার করা হয় বাদশার নাকে। খবর ছড়ায় নাকে ব্যান্ডেজ বেঁধে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। খানিকটা তাঁর ‘জওয়ান’ ছবির পোস্টারের মতোই। গোটা ঘটনাটাই ঘটে লস অ্যাঞ্জেলেসে। তবে সকলকে চমক দিয়ে বুধবার একেবারে ভোরে সপরিবার মুম্বই বিমানবন্দের দেখা গেল তাঁকে। একেবারে গটগট করে হেঁটে বেরোলেন বিমানবন্দর থেকে। চোখেমুখে তেমন কোনও অসুস্থতার ছাপ নেই। ব্যান্ডেজের দেখা মেলেনি নাকে। তার পর থেকে শুরু হয়েছে জলঘোলা। তা হলে কি বাদশাহ আদৌ কোনও অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন? না কি পুরোটাই গুজব? এর মাঝেই কেউ কেউ আবার তাঁর অস্ত্রোপচারটা আসলে নাক সুন্দর করার সার্জারি হতে পারে বলেও গুজব ছড়াচ্ছেন। এক কথায়, শাহরুখের নাক এখন প্রায় সকলের মাথাব্যথায় পরিণত হয়েছে!
শাহরুখের নাকের অস্ত্রোপচার নিয়ে যখন নানা মুনির নানা মত, ঠিক সেই সময় অভিনেতার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, তাঁর নাকে কোনও অস্ত্রোপচারই হয়নি। যদিও লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং সেটের প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেটে আঘাত পান অভিনেতা। তাতেই বেশ কিছুটা রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। তবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে নাকে সেই কারণে অস্ত্রোপচার করা হয় কি না, তা নিয়ে ধন্দে তাঁরাও। অন্য দিকে, শাহরুখের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র আবার গোটা ঘটনাটাই উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও বেশির ভাগ সূত্রেরই খবর, বাদশার নাক সম্পর্কিত কোনও এক ধরনে চিকিৎসা হয়েছে বিদেশে। তবে সেটার কী কারণ, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।
ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ যখন মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বেরোন তাঁর পরনে ছিল নীল রঙের হুডি, জিন্স ও মাথায় টুপি। অন্য দিকে, ছোট ছেলে আব্রামের হাত ধরে বিমানবন্দর থেকে বেরোন গৌরী খান। মঙ্গলবার অভিনেতার অসুস্থতার খবরে চিন্তায় পড়ে যান তাঁর অনুরাগী। বুধবার সকালে তাঁর দেখা পেতেই স্বস্তিতে তাঁরা। কেউ লিখেছেন, ‘‘যাক, এ বার স্বস্তিতে ঘুমোতে পারব।’’ কারও কথায়, ‘‘রাজা ফিরে এসেছেন এবং সুস্থ আছেন দেখেই শান্তি।’’ কেউ কেউ আবার অভিনেতার অস্ত্রোপচারের খবরের সত্যতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।