সামান্থা নামটি তাঁকে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি
তেলুগু প্রেমের ছবি ‘ইয়ে মায়া চেসভ’ থেকে শুরু করে অ্যামাজন প্রাইমের ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’— বারবার নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী সামান্থা প্রভু। ২৮ এপ্রিল অভিনেত্রীর ৩৪তম জন্মদিনে সামনে এল তাঁরই নানা অজানা কাহিনি।
সামান্থার বাবা অন্ধ্রপ্রদেশের, মা কেরলের। তাই ভাষা-সংস্কৃতির অনেকখানি বৈচিত্রের মধ্যে মেয়ের বেড়ে ওঠা। যা তাঁকে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ভাষার ছবিতে কাজ করতে সাহায্য করেছে। পড়াশোনায় খুব ভাল ছিলেন অভিনেত্রী। যদিও পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে দ্রুত রুটিরুজির পথ ধরতে হয়। মডেলিংয়ের পাশাপাশি শুরুতে পার্ট টাইম কাজও করতে বাধ্য হন সামান্থা।
এর পর রবি বর্মণ নামের এক সুপরিচিত চিত্রগ্রাহক তথা পরিচালকের নজরে পড়েন সামান্থা। তাঁর হাত ধরেই অভিনয়ে জগতে পা রাখা। নিজের প্রতিভার জোরেই এর পরে চোখ টেনেছেন সামান্থা। আর কখনও পিছনে ফিরতে হয়নি। পর্দার ‘রাজি’ আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেখানে পৌঁছতে হয়েছে বহু কষ্টে, বহু লড়াইয়ে। তাই শিকড় ভোলেননি সামান্থা। সমাজের দুঃস্থ, অভুক্ত খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকতে নিজের উপার্জনের অনেকটাই ব্যয় করেন বরাবর।
বাড়ির নাম যশোদা। সামান্থা নামটি তাঁকে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি। বন্ধুবান্ধব, পরিচিত সকলে আজও অভিনেত্রীকে যশোদা বলেই ডাকেন সকলে। ২০১৩ সালে অভিনেত্রী একবার বলেছিলেন, ‘‘আমি দারুণ ফিট! কোনও রোগ নেই।’’ কিন্তু ঘটনাচক্রে এর পরেই ডায়াবিটিস রোগে আক্রান্ত হন সামান্থা। রোজকার খাওয়াদাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ জারি হয়। তার পরেও অবশ্য পছন্দের খাবারের তালিকা দিব্যি বজায় রেখেছেন দক্ষিণী তারকা। তালিকায় বাজারচলতি চকোলেট থেকে শুরু করে জাপানি খাবার সুশি, ভাত, সবজি এবং ধোঁয়া ওঠা সি ফুড। আজও তাঁর প্রিয় মিষ্টি পালাকোভা!