জামশেদপুর ম্যাচে গোল করার মুহূর্তে লিস্টন কোলাসো। ছবি: সমাজমাধ্যম।
শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চলতি মরসুমে সাতটি ম্যাচে তাঁর কোনও গোল বা অ্যাসিস্ট ছিল না। তবে জামশেদপুর ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বাংলায় বলেছিলেন, ‘গোল হবে’। সেটাই করে দেখিয়েছেন। তা-ও আবার বিপক্ষের পাঁচ ফুটবলারকে কাটিয়ে। তবু তৃপ্ত নন লিস্টন কোলাসো। এটাকেই জীবনের সেরা গোল বলতে রাজি নন তিনি।
প্রথমার্ধে সংযুক্তি সময়ে ডান দিক থেকে মনবীর সিংহের ক্রসটি যখন পান কোলাসো, তখন বিপক্ষের পাঁচ জন খেলোয়াড় তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। বক্সের বাইরে থেকে পর পর একাধিক ড্রিবল করে বক্সের মাঝখানে পৌঁছে গিয়ে বাঁ পায়ে দুরন্ত শটে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
ম্যাচের পর লিস্টন বলেছেন, “এই জয়টা বড় প্রেরণা। আমাদের এ বার ভাল খেলাটা চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর অনুশীলনও করে যেতে হবে।” আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ১০৪টি ম্যাচ খেলেছেন ২৬ বছর বয়সি ফুটবলার। ১৮টি গোল করেছেন ও ১৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
শনিবারের গোলটিই তাঁর সেরা গোল কি না, জানতে চাইলে তাতে সায় দেননি লিস্টন। তাঁর মতে, মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে গত মরসুমে করা গোলটিই সেরা। বলেছেন, “এটা আমার সেরা গোল নয়। গত মরশুমে লিগ-শিল্ডের ম্যাচে মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে যে গোলটা করেছিলাম সেই গোলটা এর চেয়েও বেশি মূল্যবান ছিল। সেই গোলটা আমাদের লিগ-শিল্ড জিততে সাহায্য করেছিল। তবে এই গোলটাও আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এই মরসুমে এটাই আমার প্রথম গোল। প্রতিটি গোলই গুরুত্বপূর্ণ।”
লিস্টনকে নিয়ে বেশ খুশি তাঁর দলের কোচ হোসে মোলিনাও। শনিবার ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, “বিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে অসাধারণ গোল করেছে লিস্টন। বক্সের মধ্যে গোলের সুযোগ পেয়েও মাথা ঠান্ডা রেখে শেষ শটটা ঠিক মতো নিতে পারছিল না। আজ তা পেরেছে। প্রতি ম্যাচেই ও অনেক গোলের সুযোগ পায়। অনেক চেষ্টা ও অপেক্ষার পর আজ ও প্রথম গোল পেল। আশা করি ও ভবিষ্যতের ম্যাচগুলোতেও আরও গোল পাবে। আমি ওর খেলায় খুশি।”