নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার সেই শুরু ম্রুণাল ঠাকুরের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের লড়াইয়ের দিনগুলো ফিরে দেখলেন ‘জার্সি’র অভিনেত্রী। কী করে এতটা আত্মবিশ্বাসী হলেন ম্রুণাল? উত্তর মিলল অভিনেত্রীর কাছেই। দিলেন নিজের শরীর নিয়ে গর্ব করার বার্তাও।
নিজেকে নিয়ে গর্বিত ম্রুণাল।
‘‘ন্যাসপাতির মতো গড়ন তোমার। শরীরের নীচের অংশের মেদ কমাও ম্রুণাল,’’ আকছার শুনতে হত তাঁকে। আর তাতেই জেদ চেপে যায় এক দিন। নিজের শরীর নিয়ে, নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার সেই শুরু ম্রুণাল ঠাকুরের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই লড়াইয়ের দিনগুলো ফিরে দেখলেন ‘জার্সি’র অভিনেত্রী।
কেউ বলত কলসীর মতো, কেউ বলত ন্যাসপাতি। লাগাতার লোকের এমন মন্তব্য শুনতে ভাল লাগত না মোটেই। ম্রুণালের কথায়, ‘‘ন্যাসপাতি হই আর কলসিই হই, এটাই আমি। যাঁরা বলছেন, তাঁদের এটা বোঝা উচিত, শুধু শরীরের নীচের অংশ থেকে মেদ কমানো যায় না। মুখের মেদ কমে, শরীরের ঊর্ধ্বাংশের কমে, তার পর পেট-কোমরে পৌঁছয়। আর সব মিলিয়ে শরীরের গড়ন একই রকম থাকে।’’
অভিনেত্রীদের চেহারা খানিক ভারী হয়ে গেলেই কটাক্ষের বন্যা। এটাই বলিউডের বরাবরের দস্তুর। আর সেই প্রবণতারই পাল্টা মুখের উপর জবাব দিয়েছেন ম্রুণাল। সপাটে বলেছেন, ‘‘বলিউড এবং সমাজে অজস্র মেয়ের শরীরের গড়ন আমার মতোই। সকলকেই বলছি, এই চেহারায় ক্রপ টপ কিংবা হাই ওয়েস্ট প্যান্ট পরার মধ্যে দোষের কিচ্ছু নেই। কলসির মতো শরীর হলেও, সেটাই কিন্তু আপনি। মানতে শিখুন। নিজেকে নিয়ে গর্ব করতে শিখুন।’’
কী করে এতটা আত্মবিশ্বাসী হলেন ম্রুণাল?
উত্তর মিলল অভিনেত্রীর কাছেই। ম্রুণাল জানান, আমেরিকায় থাকাকালীন অনেকে শরীরের গড়নের কারণেই তাঁকে ‘ভারতীয় কার্দাশিয়ান’ বলে ডাকতেন। সে দেশে অনেক মহিলাই শরীরের এমন আকার পেতে বিস্তর পয়সা খরচ করেন। আর এই অভিজ্ঞতাই তাঁকে শিখিয়ে দেয়, যে যেমন, সেটাই তাঁর শক্তি, অহঙ্কারও বটে। আর সেই বলেই এখন বলীয়ান ম্রুণাল। তাঁর পোস্ট করা ছবিতে চেহারা নিয়ে কটাক্ষ এলে ছক্কা মেরে সটান উড়িয়ে ফেলেন মাঠের বাইরে!