পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ দিন ধরেই মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন সলমন। ছবি: সংগৃহীত।
আবার প্রাণনাশের হুমকি পেলেন সলমন খান। ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবকের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশ লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করেছে। সন্দেহভাজন সেই যুবক ডাক্তারির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। হরিয়ানায় তাঁর বাড়ি, তবে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেন তিনি। জানা গিয়েছে, সলমনকে তিনি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি ইমেল পাঠিয়েছিলেন।
যদিও সেই ছাত্রের বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ প্রকাশ্যে আনেনি। কারণ তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
শিক্ষাবর্ষ শেষ করে বছরশেষে তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা যে, হুমকি ইমেলটি সলমনের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে, সেটি নিছক রসিকতা। লরেন্স বিষ্ণোই বা গোল্ডি ব্রারের হুমকির সঙ্গে এই মেলের কোনও সংযোগ থাকার সম্ভাবনাও তারা উড়িয়ে দিয়েছে।
এই যুবকই নাকি মার্চ মাসে গোল্ডি ব্রারের নাম করে সলমনকে হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন।
তবে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ দিন ধরেই মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন সলমন। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল এর আগে। তার পর থেকেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর ঘেরাটোপে থাকেন অভিনেতা।
সলমন এখন মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। সাধারণের ভিড়ে ভক্তের ডাকে সাড়াও দেন না। অনেক সাবধানী হয়ে গিয়েছেন ভাইজান।
তিনি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, “নিরাপত্তাহীনতার চেয়ে নিরাপত্তা ভাল। নিরাপত্তা তো আছেই। এখন রাস্তায় সাইকেল চালানো বা একা একা কোথাও চলে যাওয়া সম্ভব নয়। এখন সবচেয়ে সমস্যা হয় ট্র্যাফিক সিগন্যালে আটকালে। নিরাপত্তার এমন বহর থাকে যে, অন্য লোকেরা গাড়ি দেখতে পায় না। আমার অনুরাগী বেচারারা আমার দিকে তাকায়। সত্যিই সিরিয়াস হুমকি পেয়েছি বলেই নিরাপত্তা নিতে হয়।”
সলমন জানান, তাঁকে যা করতে বলা হয়, তিনি সেটাই করেন। তাঁর কথায়, “আমি পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিয়েই চলাফেরা করি। আমি জানি, যা হওয়ার তা হবেই, সে যা-ই করি না কেন। তবে এর মানে এই নয় যে, আমি নিশ্চিন্তে এখানে-সেখানে ঘুরব।”
‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এর পর সলমন এখন ‘টাইগার ৩’ নিয়ে ব্যস্ত। চলতি বছর দীপাবলিতে মুক্তি পাবে সেই ছবি।