(বাঁ দিক থেকে) অর্জুন কপূর, মালাইকা অরোরা ও সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বিচ্ছেদ হয় মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কপূরের। বিচ্ছেদের রেশ কাটিয়ে ওঠারা আগেই সৎবাবাকে হারান অভিনেত্রী। এই দুঃসময়ের খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রাক্তন স্বামী আরবাজ় খান। নিজের কাজ ফেলে মালাইকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সলমন খানও। সেই সময় তিনি মুম্বই শহরের বাইরে শুটিং করছিলেন। তবে, ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রীর বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়াতে বিলম্ব করেননি তিনি। সলমনের এই পদক্ষেপকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন আর এক ভাই সোহেল খানের প্রাক্তন স্ত্রী সীমা সাজদেহ।
পরিবারের প্রশংসা করে সীমা বলেন, “দুঃসময়ে বা মানুষের প্রয়োজনে সলমনেরা সব সময় পাশে থাকেন। এই বৈশিষ্ট্যই ওদের এমন একসঙ্গে করে রেখেছে।” সেপ্টেম্বর মাসে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন মালাইকার সৎবাবা কুলদীপ মেহতা। সেই সময়ে প্রথমে দেখা করতে এসেছিলেন আরবাজ়।
সীমা জানান ওই পরিবারে তিনিও প্রাক্তন সদস্য। কিন্তু পরিবারের প্রত্যেকে মানুষের বিপদে এসে দাঁড়াতে দু’বার ভাবেন না। ক্যামেরার সামনে বা প্রচারের স্বার্থে তাঁরা এই কাজগুলো করেন না বলেও জানান সীমা।
২০১৭ সালে মালাইকা ও আরবাজ় বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। তবে সৌজন্য বজায় রেখেছেন তাঁরা। পরিবারের যে কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন তাঁরা। ২০১০ সালের ছবি ‘দবাং’-এ আইটেম গান ‘মুন্নি বদনাম’-এ এক পর্দায় দেখা গিয়েছিল সলমন ও মালাইকাকে। তবে ভাই আরবাজ়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে কখনওই মালাইকার সঙ্গে দেখা যায়নি সলমনকে। কিন্তু ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রীর বিপদে এসে পাশে দাঁড়াতে তিনিও এসেছেন।