শাহরুখ খান ও সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
অনুরাগীদের কাছে তাঁরা ‘কর্ণ-অর্জুন’। বলিউডে তাঁদের অনুরাগী হাতে গুনে শেষ করা যায় না। তাঁদের বন্ধুত্বেরও জয়জয়কার হত এক সময় বি-টাউনে। কিন্তু ২০০৮ সালে শাহরুখ খান ও সলমন খানের সম্পর্কে ছন্দপতন ঘটে।
সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা তথা অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফের জন্মদিনের পার্টিকে কথা কাটাকাটি শুরু হয়েছিল দুই বলি তারকার। সেই তর্ক এমন জায়গায় পৌঁছয় যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ভেঙে যায় শাহরুখ ও সলমনের। প্রায় মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয় দু’জনের মধ্যে। শাহরুখের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া প্রথমে মেনে নিতে পারেননি সলমন। এই ঘটনা তাঁকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছিল। ভাইজান এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন নিজেই।
শাহরুখকে নিজের ভাইয়ের মতোই ভাবতেন সলমন। তাই প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এই বন্ধুবিচ্ছেদে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সলমন বলেছিলাম, “শাহরুখকে আমি সব সময় ভালবাসতাম। ছোট ভাইয়ের মতো মনে করতাম ওকে। তাই আঘাত তো পেয়েছি বটেই!”
২০১১ সালে ‘কফি উইথ কর্ণ’ অনুষ্ঠানে শাহরুখকেও এই বন্ধুবিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ভেবেচিন্তে উত্তর দিয়েছিলেন তারকা। বাদশাহ জানিয়েছিলেন, তিনি বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেন না। বেশি দিন স্থায়ী হয় না তাঁর বন্ধুত্ব। তবে তাঁকে অপছন্দ করার জন্য বা তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব ভেঙে দেওয়ার জন্য কাউকে দোষ দেন না শাহরুখ।
শাহরুখ জানিয়েছিলেন, তাঁকে ভালবাসা ও অপছন্দ করার সমস্ত দায় তিনি নিজেই নিতেই পছন্দ করেন। কোনও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য নিজেকেই দায়ী করেন তিনি। প্রিয়জনেদের হতাশ করার দুঃখ তিনিও বয়ে বেড়ান। সম্পর্কে ক্ষমা চাওয়ার গুরুত্ব তিনিও জানেন। কিন্তু কোনও ভাবেই সরাসরি ক্ষমা চেয়ে উঠতে পারেন না। নিজের ভিতরে কী চলছে, তা-ও প্রকাশ করতে পারেন না। জানিয়েছিলেন বলিউডের বাদশাহ।
এ ভাবেই চলছিল সলমন ও শাহরুখের মান অভিমানের সম্পর্ক। কিন্তু ২০১৩ সালে বাবা সিদ্দিকির পার্টিতে ফের তাঁদের সমীকরণ সহজ হয়ে যায়। বাবা সিদ্দিকির উদ্যোগেই জোড়া লেগেছিল সেই সম্পর্ক। শাহরুখের ‘পাঠান’ ছবিতেও সলমনের বিশেষ উপস্থিতি ছিল।