আলিয়া ভট্ট ও রণবীর কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণত তাঁর ভাবমূর্তি শান্ত ও স্থির। পর্দায় যে কোনও চরিত্রে সাবলীল হলেও বাস্তবে প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন রণবীর কপূর। সেই ভাবে কখনওই তাঁকে প্রকাশ্যে মেজাজ হারাতে দেখা যায় না। তাঁকে বিয়ে করার পরে নাকি আলিয়া ভট্টও শান্ত হয়ে গিয়েছেন। নীচু স্বরে কথা বলার অভ্যেস করেছেন তিনিও। কিন্তু এ বার সেই রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন রণবীর। ক্যামেরার সামনেই চিৎকার করে উঠলেন। প্রকাশ্যে ধাক্কা দিলেন এক ব্যক্তিকে।
ঠিক কী ঘটেছিল? আলিয়ার মা সোনি রাজদানের জন্মদিনের পার্টি ছিল মুম্বইয়ের এক রেস্তোরাঁয়। পৌঁছে গিয়েছিলেন আলিয়া ও রণবীরও। পার্টি শেষে রেস্তোরাঁ থেকে শ্বশুর মহেশ ভট্টকে বার করে গাড়িতে তুলে দেন রণবীর। তার কিছুক্ষণ পরেই স্ত্রী আলিয়াকে নিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে বেরোন অভিনেতা। তখনই সমস্যার সূত্রপাত। আলিয়াকে দেখেই ধেয়ে আসেন ছবিশিকারিরা।
আলিয়াকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করতেই, ছবিশিকারিদের উপর মেজাজ হারান রণবীর। চিৎকার করে ওঠেন তিনি। কড়া ভাষায় বলেন, “কী করছেন আপনারা? এটা কী হচ্ছে! এখনই সরে যান এখান থেকে।” কথায় কাজ না হলে, রণবীর আরও রেগে যান। এক ছবিশিকারির হাত টেনে ধরে ধাক্কা দিয়ে গা়ড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেন তিনি। তার পর স্ত্রীকে গাড়িতে উঠিয়ে নিজেও গাড়িতে ওঠেন রণবীর।
অভিনেতাকে এই রূপে দেখে অবাক তাঁর অনুরাগীরা। অনেকেই মজা করে মন্তব্য করেছেন, রণবীরের মধ্যে ‘অ্যানিম্যাল’-এর রণবিজয়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়ে গিয়েছে। ছবিশিকারিদের সমালোচনাও করেছেন রণবীরের অনুরাগীরা।
আগামীতে রণবীরের হাতে রয়েছে ‘লভ অ্যান্ড ওয়ার’ ও ‘রামায়ণ’-এর মতো ছবি। অন্য দিকে আলিয়া কিছু দিন আগেই দেখা গিয়েছে ভাসান বালার ছবি ‘জিগরা’-তে।