সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
১৪ এপ্রিল গুলির শব্দ ঘুম ভাঙে সলমন খানের। আচমকাই তাঁর ফ্ল্যাটের বাইরে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় চার বন্দুকবাজ। যদিও একে একে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চার জনই। এ বার সলমনের বয়ান রেকর্ড করল পুলিশ। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলল জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, ১৫০টা প্রশ্ন করা হয় সলমনকে। একা সলমন নন, বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ভাই আরবাজ় খানেরও। বয়সজনিত কারণে জিজ্ঞাসবাদে থাকতে পারেননি অভিনেতার বাবা সেলিম খান।
গুলিকাণ্ডের পর থেকেই কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছেন সলমন। সারা ক্ষণই ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন ভাইজান। বাড়িতে এমন একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাই সলমনকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরাও। যদিও এই ঘটনার পর কখনওই প্রকাশ্যে কিছু বললেননি অভিনেতা। পুলিশি জিজ্ঞাসবাদে কী জানালেন তিনি?
সে দিনের ঘটনার প্রতি মিনিটের বিবরণ দিয়েছেন সলমন। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ এপ্রিলের ওই ঘটনার দিন পশ্চিম বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও তাঁর মা-বাবা। বন্দুকবাজরা পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সলমন জানান, গুলির শব্দেই তিনি জেগে ওঠেন। কী হচ্ছে দেখার জন্য যখন বারান্দায় যান, তখন কাউকে আর দেখতে পাননি। ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি, বাড়িতে হামলা, এ সব দেখে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন এমনটাই জানান অভিনেতা।
পাশাপাশি আরবাজ় তাঁর বয়ানে বলেন, ‘‘এর আগেও একটা হুমকি চিঠি পাওয়া গিয়েছিল বাড়ির বাইরে। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা পানভেলের ফার্মহাউসে রেকি করেছিল। এ বার গুলি চালাল। এই নিয়ে তৃতীয় হামলা, পুলিশের এই ঘটনায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’’
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকাণ্ডে সলমন খানের নাম জড়িয়েছিল। এর বদলা নিতে সলমনকে খুনের হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে খতম তালিকায় রেখেছে, তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সলমনের নাম। তার পর থেকেই সলমনকে নানা ভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে এই গ্যাংস্টার।