সইফ-পুত্র জেহই ছিল শরিফুলের নিশানায়! —ফাইল চিত্র।
পুলিশি জেরায় দোষ স্বীকার করেছেন মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। গত বুধবার মধ্যরাতে সইফের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। সেই বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমেই তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন সইফ-করিনার কনিষ্ঠ পুত্র জেহ-র ঘরের দিকে। চার বছরের শিশুই ছিল শরিফুলের মূল নিশানা।
মুম্বই পুলিশের জেরায় উঠে এসেছে, জেহ-কে পণবন্দি করে ১ কোটি টাকা দাবি করার পরিকল্পনা ছিল শরিফুলের। সেই পরিকল্পনামাফিক শরিফুল চুপিসারে জেহ-র ঘরের দিকে এগিয়েছিলেন। প্রথম বিষয়টি নজরে এসেছিল জেহ-র ন্যানির। তিনি জেহকে বাঁচাতে উদ্যত হন। যদিও তাঁকে শরিফুল দেখতে পেয়ে যান তখনই। সরাসরি ন্যানি প্রশ্ন করেছিলেন, কী চান শরিফুল। উত্তরে এক কোটি টাকার কথা বলেছিলেন তিনি। এই ফাঁকে সেই ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে পালিয়েছিল জেহ। সেই কান্না শুনে ছুটে এসেছিলেন সইফ।
অভিনেতা বাধা দিতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শরিফুল ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর উপর। তার পরেই সইফকে ছ’বার ছুরিকাঘাত করেন তিনি। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছন অভিনেতা।
১৯ জানুয়ারি শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। জেরার মুখে দোষ স্বীকার করেন অভিযুক্ত শরিফুল। তিনি বলেন, “হ্যাঁ আমিই করেছি।” পুলিশি জেরায় উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, ধৃত শরিফুল আসলে বাংলাদেশের জাতীয় স্তরের কুস্তিগির। অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। গত পাঁচ মাস ধরে তিনি মুম্বইবাসী। মুম্বইয়ের দুই রেস্তরাঁ ও হোটেলে শরিফুলের কাজ করার কথাও জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওরলি এলাকার রেস্তরাঁয় চুরির অভিযোগ উঠেছিল শরিফুলের বিরুদ্ধে। সেই কারণে তাঁর চাকরিও গিয়েছিল গত অগস্টে।