সইফের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কে ? ছবি: সংগৃহীত।
বুধবার মধ্যরাতে সইফ আলি খানের বাড়িতে দুষ্কৃতীর আক্রমণ। ক্ষতবিক্ষত হন অভিনেতা। ছ’বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে তাঁকে। অভিনেতার শিরদাঁড়ায় তখনও গেঁথে রয়েছে ছুরি। শোনা যাচ্ছিল, রক্তাক্ত অভিনেতাকে তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করান ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। তার পর চিকিৎসকেরা দ্রুত অস্ত্রোপচার শুরু করেন। অবশেষে প্রকাশ্যে এল প্রকৃত তথ্য। সারা শরীরে রক্ত, শিরদাঁড়ায় গাঁথা ছুরি সমেত ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন অভিনেতা। তবে সঙ্গে বড় ছেলে ইব্রাহিম নন, মাত্র ৮ বছরের ছেলে তৈমুর বাবাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে।
চিকিৎসকেরা শুক্রবার সকালে জানান, সইফ বিপন্মুক্ত। জ্ঞান ফিরেছে অভিনেতার। আপাতত এক সপ্তাহ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারবেন না তিনি। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। পাশাপাশি, আইসিইউ থেকে শুক্রবার সকালে তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে সইফের সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘যখন হাসপাতালে প্রবেশ করেন, তখনও ছুরি পিঠে। ছোট্ট ছেলের হাত ধরে ঢোকেন। রক্তাক্ত অবস্থাতেও ভেঙে পড়েননি। এমনকি স্ট্রেচারে পর্যন্ত শুয়ে যাননি। বরং পায়ে হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছন।’’
সইফের শরীর থেকে বার করে আনা ছুরি মুম্বই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবারই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবি। অবশেষে শুক্রবার সকালে সেই ব্যক্তিকে আটক করেছে মুম্বই পুলিশ।