(বাঁ দিকে) ‘ওএমজি ২’ ছবিতে অক্ষয় কুমার, সদ্গুরু (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমারের ছবি ‘ওএমজি- ওহ্ মাই গড’। তার ১১ বছর পরে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ওএমজি২’। বিস্তর জল্পনা চলেছে এই ছবিকে নিয়ে। ছবি মুক্তি পাবে কি না, সেই নিয়ে রীতিমতো সংশয় দেখা দেয়। শেষমেশ ‘ইউ/এ’-এর বদলে ‘এ’ শংসাপত্র দেওয়ায় নির্ধারিত দিন ১১ অগস্টেই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। যদিও ছবির পরিচালক অমিত রাই নাছোড় ছিলেন ‘ইউ/এ’ সংশাপত্র নিয়ে, কিন্তু তখনই ছবির প্রায় ৯০টি দৃশ্যে কাঁচি চালাতে বলে সেন্সর বোর্ড। কিন্তু সেই সব পরিবর্তনে সম্মত না হওয়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির তকমা নিয়ে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। এতেই আপত্তি জানিয়েছেন সদ্গুরু।
সম্প্রতি কোয়েম্বত্তূরে অবস্থিত সদ্গুরুর আশ্রমে যান অক্ষয় কুমার।ছবির বিশেষ স্ক্রিনিং করান সদ্গুরুর আশ্রমে। এই ছবি যে ভীষণ সময়োপযোগী, সে কথা জানান এই খ্যাতনামী আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। পাশপাশি, সেন্সর বোর্ডের ‘এ’ শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে খানিক আপত্তিও জানান তিনি।
গোটা বিতর্কের সূত্রপাত এই ছবিকে নিয়ে শুরু হয় এর চিত্রনাট্যের কারণে। শোনা যায়, ছবিতে সমকামী সম্পর্কের যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনই রয়েছে আত্মরতির দৃশ্য। তার তাতেই আপত্তি জানায় সেন্সর বোর্ড। সাম্প্রতিক অতীতে ‘আদিপুরুষ’ ছবির সংলাপ নিয়ে বিপুল সমালোচনা হয় দেশ জুড়ে। তার পর থেকেই নাকি বাড়তি সতর্ক সেন্সর বোর্ড।
ছবি দেখে টুইট করে সদ্গুরু লেখেন, ‘‘ এই ছবির ক্ষেত্রে ‘এ’ শংসাপত্রের আওতায় বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসা দরকার। এটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের শরীর ও তার চাহিদা বোঝার মতো শিক্ষা সকলেরই হওয়া উচিত। এবং সেই চাহিদায় সাড়া দেওয়াটা সমাজকে গড়ে তুলতে ও তার উৎকর্ষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে তাই ‘এ’ সংশাপত্র এখানে বড়দের ছবি নয়, বরং প্রাপ্তমনস্কতাকে বোঝায়।’’ সদ্গুরুর কাছ থেকে এমন কথা ভরসা হয়ে দাঁড়াতে পারে নির্মাতাদের কাছে। সদ্গুরুর টুইটে খানিক মনের জোর পেলেন অক্ষয়ও। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব, এই বার্তা অনেক দূর অবধি পৌঁছবে।’’