রোশনি ভট্টাচার্য।
আনন্দবাজার অনলাইন-ই প্রথম জানিয়েছিল, বিয়ের জন্য আপাতত ছুটি নিচ্ছেন ‘জগদম্বা’ রোশনি ভট্টাচার্য। ‘রাণী রাসমণি’র সেটে রবিবার ছিল তাঁর শ্যুটের শেষ দিন। আড়াই বছর ধরে জগদম্বার নানা রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন সাজে, অভিনয়ে। চিত্রনাট্যের খাতিরে সধবা থেকে বিধবা হয়েছেন। ছেড়ে যাওয়ার আগে ছেলেদের বিয়ে দিয়ে ঘরে বউমাও এনেছেন। তাঁর সেই ভরা সংসার এ বার কে সামলাবে? রোশনি তুমুল ব্যস্ত বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে। দোকানে যাওয়ার আগে কথা বলেছেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। জানিয়েছেন, তাঁর জায়গায় আসছেন মিমি দত্ত।
শেষ শটের পরে রোশনির বক্তব্য ছিল, তাঁর চরিত্র কঠোরে-কোমলে। এই রুষ্ট, তো পরক্ষণেই তুষ্ট! আড়াই বছর ধরে একটি চরিত্র করতে করতে তার ছাপও পড়ে গিয়েছিল চোখেমুখে। মিমির আদল বলে, তিনি তুলনায় নরমসরম। পারবেন এমন মিঠে-কড়ার যুগলবন্দি হতে? জবাবে অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘মুখেচোখে লড়াকু মেয়ের ছাপ কিন্তু এক দিনে আসেনি আমার। আড়াই বছর ধরে জগদম্বাকে নিজের মধ্যে লালন করতে করতে এই ছাপ এসেছে।’’ তাঁর যুক্তি, কেউ অন্য কারও মতো হয় না। তিনি তাঁর মতো করে ‘জগদম্বা’কে ফুটিয়ে তুলেছেন। মিমি ফোটাবেন নিজের মতো করে। রোশনির কাছ থেকে ‘জগদম্বা’ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব জেনে নিয়েছেন মিমি। এ বার হাতেকলমে চরিত্র হয়ে ওঠার পালা শুরু।
এক এক করে ধারাবাহিকের স্তম্ভরা সরে যাচ্ছেন। ‘রানিমা’ দিতিপ্রিয়া রায়, ‘মথুরবাবু’ গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের পরে এ বার ‘জগদম্বা’ রোশনি। ‘রাণী রাসমণি’র টিআরপি-তে ছাপ পড়বে? রোশনির সাফ জবাব, ‘রাণী রাসমণি’র মতোই এই ধারাবাহিকের উত্তর পর্বেরও দর্শক তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাঁরা দেখবেন। নম্বর দেবেন। রেটিং তালিকায় কোনও প্রভাব পড়বে না।
রোশনির বিদায়বেলায় সেটে কেক কাটা হয়েছে। অভিনেত্রীর দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন সবাই। মনও খারাপ সকলের। চলে আসার আগে ভবতারিণী মন্দিরের ‘ছোট ঠাকুর’ ওরফে পর্দার ‘শ্রী রামকৃষ্ণ’ কী আশীর্বাদ করলেন? হেসে ফেলেছেন রোশনি। বলেছেন, ‘‘সৌরভ সাহার আশীর্বাদ, খুব শিগগিরিই আবার তোমার সঙ্গে এক সেটে শ্যুট করব।’’ কবে আবার স্টুডিয়ো পাড়ায় দেখা মিলবে তাঁর? ‘‘নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতেই আবার ফিরছি। বেশি দিন অভিনয় ছেড়ে থাকতে আমিই থাকতে পারব না’’, অকপট পর্দার ‘জগদম্বা’।