ঋত্বিক চক্রবর্তী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ অব্যাহত। এ দিকে আর এক মাসও বাকি নেই দুর্গাপুজোর। এই আবহে মানুষ উৎসবে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই চলছে তরজা। কিন্তু, শনিবার চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই উৎসব নিয়ে খোঁচা দিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। এ দিন সন্দীপের সঙ্গে সিবিআই টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার পরেই ঋত্বিক সমাজমাধ্যমে উৎসব প্রসঙ্গে একটি পোস্ট করেন। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “এক মাস হয়ে গিয়েছে। এ বার উৎসবে ফিরুন।” এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। রবিবার সকালে ঋত্বিক তাঁর পোস্টে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তুললেন, “আচ্ছা ওই থানার ওসি আর প্রাক্তন অধ্যক্ষ গতকাল থেকেই উৎসবে যোগ দিল না কি?”
আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সমাজমাধ্যমে সরব ঋত্বিক। গত ১১ অগস্ট একটি পোস্ট করে ঋত্বিক লিখেছিলেন, “আমরা সবাই বিচার চাই।” রাত দখল সংক্রান্তও একাধিক পোস্টও করেন অভিনেতা। ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কলকাতা পুলিশকে কটাক্ষ করে লেখেন, “আমাদেরই খুঁজতে বলছেন? তখন আপনারা কী করবেন? ও বাড়ির পুজোতে খিচুড়ি পরিবেশন করতে হাতা মাজবেন?” ১৮ অগস্ট এক মিছিলেও যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা।
উল্লেখ্য, এ বার পুজোয় তাঁর ছবি ‘সন্তান’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। ছবির পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। কিন্তু সেই ছবি এ বছর পুজোয় শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাচ্ছে না। ঋত্বিককে শেষ দেখা গিয়েছে ‘একটু সরে বসুন’ ও ‘ভূতপরী’ ছবিতে।