Riuparna Sengupta

‘ভাল স্পর্শ-খারাপ স্পর্শের পার্থক্য শেখা জরুরি’, ছেলেমেয়েকে কোন শিক্ষা দিয়েছেন ঋতুপর্ণা?

অভিনেত্রী এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের মা। কী ভাবে ছেলে-মেয়েকে সচেতন করেন, জানালেন ঋতুপর্ণা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৪ ১৯:৩১
Share:

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল সারা দেশ। সমাজে মহিলাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই দাবি করছেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের যৌনশিক্ষার পাঠ দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেত্রী এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের মা। কী ভাবে ছেলে-মেয়েকে উক্ত বিষয়ে সচেতন করেন, জানালেন ঋতুপর্ণা।

Advertisement

তাঁর কথায়, “স্কুলে এখন ভাল স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শের পার্থক্য শেখানো হয়। প্রতিটা স্কুলেই কিন্তু এই শিক্ষাটা দেওয়া জরুরি। শুধু মেয়েদের নয়। ছেলেদেরও এই শিক্ষাটা দেওয়া দরকার। যে পরিস্থিতির মধ্যে আমরা দাঁড়িয়ে, ছেলেদেরও বোঝানো উচিত তাদের কী ভাবে চলা উচিত। সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হলে কী কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, তা এখনও বলা না হলে অনেকটা দেরি হয়ে যাবে।”

অভিনেত্রী মনে করেন, ছেলেদের শেখানো উচিত মহিলাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত। ঋতুপর্ণার কথায়, “ছেলেদের বোঝানো উচিত, তারা যেন সীমা অতিক্রম না করে। ওদের শেখাতে হবে, মহিলাদের কী ভাবে সম্মান করতে হয়, কোন চোখে দেখা উচিত। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে কারও কখনও সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়।”

Advertisement

মেয়ে ঋষণাকেও সব সময়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রী বলেন, “বয়স দেখে তো অঘটন আসে না এখন। পাঁচ বছরের শিশুকন্যা বা ৭০ বছরের বৃদ্ধা, কারও কোনও নিরাপত্তা নেই। তাই নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছলে মেয়েকে সচেতন করব, এমন নয়। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই তাকে এই বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন করা প্রয়োজন। কারণ বয়স নির্বিশেষেই অঘটন ঘটতে থাকছে। দু’বছরের বাচ্চাকে দেখেও যৌন আকাঙ্ক্ষা হয়? এই সব ভেবেই আমি হয়রান হয়ে যাই। মানুষের মানসিকতা কতটা বিকৃত হলে এটা সম্ভব! সমাজটাই কতটা বিকৃত হয়ে গিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement