কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
কঙ্গনা রানাউতের আসন্ন ছবি ‘ইমার্জেন্সি’নিয়ে কিছুতেই জট কাটছে না। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কিছুতেই সেন্সর বোর্ড এই ছবির শংসাপত্র দিচ্ছে না তাঁকে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা। তার মধ্যে শংসাপত্র পাওয়া না গেলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান অভিনেত্রী।
কঙ্গনার হুঁশিয়ারি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শংসাপত্র না পাওয়া গেলে তিনি লড়াই করবেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে কঙ্গনা বলেন, “আশা করছি আমার ছবিকে সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়ে দেবে। যে দিন আমাদের শংসাপত্র পাওয়ার কথা, সেই দিনই বহু লোকে নানা রকমের নাটক করলেন।”
অভিনেত্রী-সাংসদ বলেন, “সেন্সর বোর্ডেরও নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। আমি আশা করছি, এই ছবিটা মুক্তি পাবে। আমি এই ছবির মুক্তি নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ওরা কিছুতেই ছাড়পত্র দিচ্ছে না।”
নিজের ছবির মুক্তির জন্য লড়াই করবেন ও শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানালেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “এ বার সত্যিই দেরি হচ্ছে। ছবির শংসাপত্র যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আসে। না হলে, আমি এটার জন্য লড়াই করবই। ছবিমুক্তির জন্য আমি আদালত পর্যন্ত যেতে পারি। আমি আমার অধিকার রক্ষা করবই। ভয় দেখিয়ে ইতিহাস কেউ বদলাতে পারবে না।”
কঙ্গনার ছবি আটকানোর দাবিতে সেন্সর বোর্ডের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল শিরোমণি অকালি দল। অকালি দল মনে করছে, ‘ইমার্জেন্সি’মুক্তি পেলে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। সংগঠনের দিল্লি শাখার সভাপতি পরমজিৎ সিংহ স্বর্ণের কথায়, “ছবির ঝলকে বিকৃত ঐতিহাসিক তথ্য দেখানো হয়েছে। যা শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষে শুধু অবমাননাকরই নয়, একই সঙ্গে ঘৃণাও ছড়াচ্ছে।”তাঁর মতে, এই ধরনের ভুল তথ্য পঞ্জাবের সামাজিক জীবন সম্পর্কে দর্শকের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে দেবে।