দুই ছেলেকে নিয়ে রীতেশ দেশমুখ। সংগৃহীত চিত্র।
রীতেশ দেশমুখ যা-ই করেন, তা-ই খবর। পরিচালনায় এসে নজির গড়েছেন। প্রথম ছবিই ব্লকবাস্টার। প্রযোজক রীতেশও জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন। অভিনেতা হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট চাহিদা। স্ত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজ়ার শংসাপত্র, স্বামী হিসাবে নাকি দুর্দান্ত তিনি। এ বার ‘সুপুত্র’ হিসাবেও নিজেকে প্রমাণিত করলেন রীতেশ। এ বারের দীপাবলির পোশাক হিসাবে তিনি বেছে নিয়েছেন মায়ের পুরনো শাড়ি! তাতেই সাজিয়েছেন নিজেকে। তিনি একা নন। নিজের দুই ছেলেকেও দলে টেনেছেন। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল।
এখন অনেক পুরুষই নিজেকে শাড়ি, গয়না-সহ নারীর আভূষণে সাজিয়ে তুলছেন। বাংলায় এই সাজের নির্দশন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, পুষ্পক সেন। একগাল গোঁফদাড়ি নিয়েই পুষ্পক অনায়াসে গায়ে জড়ান বেনারসি থেকে কাঞ্জিভরম। রীতেশ কি তেমনই কিছু করতে চলেছেন? ঠিক তা নয়। অভিনেতা মায়ের পুরনো শাড়িকে নতুন রূপ দিয়েছেন। ফিরোজা নীল রঙের দক্ষিণী সিল্কে সোনালি জরির কাজ আর সাদা রেশমি সুতোর নক্সা। এই শাড়ি দিয়ে তিনটি কুর্তা বানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে সাদা চোস্ত পাজামা। সেই সাজে ধরা দিতেই নায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁর অনুরাগীরা।
নিজে এবং দুই ছেলে জোড় হাতে প্রত্যেককে দীপাবলির আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মায়ের সেই বিশেষ শাড়ি। রীতেশের এই অভিনব ভাবনা পছন্দ হয়েছে বহু জনের। মন্তব্য বাক্সে তার প্রমাণ রয়েছে। কেউ লিখেছেন, “এত দিন জানতাম, মধ্যবিত্তেরাই পুরনো শাড়ি দিয়ে পোশাক বানান। আপনি এই পথে হেঁটে প্রমাণ করে দিলেন, এখনও আপনার পা মাটিতেই রয়েছে।” জনৈক নেটাগরিকের মতে, “পুরনো সংস্কৃতি এবং জিনিসের কদর কী করে করতে হয়, তা আপনার কাছ থেকে সকলের শেখা উচিত।”