অতিমারি, মাস্ক-বন্দি ইউনিট, বদ্ধ লন্ডন শহরের ইংলিশ ব্রেকফাস্ট নিয়ে প্রাণখোলা হাসি হাসলেন ঋদ্ধি।
তাঁর চেনা হিথরো বিমানবন্দরকে চিনতে পারছেন না আর। অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘অনুসন্ধান’-এর জন্যই লন্ডনে শুটে ব্যস্ত তিনি। আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে প্রথম কথা বলতে গিয়ে বললেন, “লন্ডনে পড়াশোনা করেছি। আগে শুট করতেও এসেছি। তবে এই লন্ডন একেবারেই অচেনা। সবাই সবাইকে আড়চোখে দেখে। মুখের এক্সপ্রেশন ঢাকা।’’
ঋদ্ধি একা নন, এই শুটিং ইউনিটে আছেন তাঁর ‘অপু কাকা’ (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়), ‘চূর্ণী মাসি’ (চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়), ‘পায়েলদি’ (পায়েল সরকার), ‘প্রিয়াঙ্কাদি’ (প্রিয়াঙ্কা সরকার)। সব মিলিয়ে এস কে মুভিজের ৫০-৬০ জনের প্রোডাকশন এখন কাজ করছে লন্ডনে। ঋদ্ধি বললেন, “আসার আগে কোভিড টেস্ট হয়েছে সকলের। এসকে মুভিজ ভীষণ খেয়াল রাখছে আমাদের। আমাদের হেলথ ইন্সিওর্যান্সও করা হয়েছে প্রোডাকশন হাউজের পক্ষ থেকে, কখনও না কখনও তো কাজ শুরু করতেই হত!”
লন্ডনে এলেও আর কোথাও যাওয়ার জো নেই। কলকাতার ডিসেম্বরের শীত এখন লন্ডনে। হোটেল থেকে লোকেশন, আবার লোকেশন থেকে হোটেল— এইটুকুই যাতায়াতের পথ। ঋদ্ধির কথায়: “আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। প্লেনে সবাই একটানা মাস্ক পরে এলাম। অভিনেতারা ছাড়া সবাই মাস্ক পরে থাকছেন ইউনিটে। এমন ধু-ধু করা হিথরো এয়ারপোর্ট আগে দেখিনি।” শুটের মাঝেই অবশ্য অভিনেতা দেখতে গিয়েছিলেন লন্ডনের ন্যাশনাল থিয়েটার, তাঁর সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। কিন্তু এ বার কী দেখলেন সেখানে? হতাশ ঋদ্ধি, “শুকনো পাতা পড়ে আছে লন্ডনের ন্যাশনাল থিয়েটারে! দরজা বন্ধ! মনে পড়ে গেল আমাদের অ্যাকাডেমির কথা! সেই দরজাও তো কবে থেকে বন্ধ।’’
আরও পড়ুন : আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে, অভিযোগ অনুরাগের
নতুন ছবি ‘অনুসন্ধান’-এর জন্যই লন্ডনে শুটে ব্যস্ত অভিনেতা ঋদ্ধি সেন।
চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে প্রিয়াঙ্কা সরকার এবং পায়েল সরকার, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সকলের সঙ্গেই দৃশ্য আছে ঋদ্ধির। সেই প্রসঙ্গে বললেন অভিনেতা, “এরা সকলেই আমায় জন্মাতে দেখেছে। এখন তাদের সঙ্গে কাজ করছি। কমলেশ্বরকাকু খুব যত্ন করে কাজ করছেন। সকলের খেয়াল রাখছেন।”
আরও পড়ুন : ডেটিং অ্যাপে নুসরতের ছবি দিয়ে বন্ধুত্বের ডাক! তদন্তে লালবাজার
এ বছর এই শুটের জন্যই বাবা কৌশিক সেনের জন্মদিনে থাকতে পারেননি ‘নগরকীর্তন’-এর ‘পুঁটি’। আর বান্ধবী সুরঙ্গনা? প্রশ্নটা উঠতেই বললেন, “ওকে খুব মিস করছি। ওর প্রথম বিদেশ সফর ছিল লন্ডন। শুটের জন্য অনেকদিন ছিলাম আমরা। আমি হোয়াটসঅ্যাপ কল পছন্দ করি না। বিদেশে এসে মোবাইলে প্রিয় মানুষের মুখ দেখলে আরও কষ্ট হয়। যেখানে যেখানে যাচ্ছি ওকে ছবি তুলে পাঠাচ্ছি। বাবা-মায়ের সঙ্গেও ফোনে কথা হচ্ছে।”
অতিমারি, মাস্ক-বন্দি ইউনিট, বদ্ধ লন্ডন শহরের একটা বিষয় নিয়ে অবশ্য প্রাণখোলা হাসি হাসলেন ঋদ্ধি। বললেন, “ইংলিশ ব্রেকফাস্ট-টা কিন্তু খুব এনজয় করছি। রাতভর শুট হলেও সকালে ওটা চাই-ই। ভাগ্যিস! কোভিডের সঙ্গে ইংলিশ ব্রেকফাস্টের কোনও যোগ নেই!”
২৮ সেপ্টেম্বর হিথরো থেকে কলকাতায় ফিরবে টিম ‘অনুসন্ধান’।