Rhea Chakraborty

নোংরা স্নানঘর, ক্যাপসিকামে জল মিশিয়ে খাবার, জেলবন্দি ক’টা মাস কেমন ছিল রিয়ার?

সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়াকে জেলবন্দি হয়ে কাটাতে হয় দু’মাস। কেমন ছিল সেখানকার অভিজ্ঞতা, জানালেন অভিনেত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৭
Share:

রিয়া চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বার বার অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর দিকে। অভিনেতার মৃত্যুর পর হাজার বিতর্ক দানা বাঁধে রিয়াকে ঘিরে। অভিনেতার মৃত্যুর পর রিয়ার নামে অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা। হাজতবাস হয় তাঁর। প্রায় দু-মাস মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ছিলেন রিয়া। সুশান্ত সিংহের রহস্যমৃত্যুতে শুধু রিয়াকেই নয়, তাঁর ভাই শোইক চক্রবর্তীকেও গারদে কাটাতে হয়। জেলে কাটানো জীবন কেমন ছিল রিয়ার? লেখক চেতন ভগতকে জানালেন মনের কথা।

Advertisement

সুশান্ত যখন মারা যান সেই সময় দেশে লকডাউন চলছে। যে ভাবে কাঁটাছেড়া চলেছে তাঁকে নিয়ে, রিয়া জানাতেন তাঁকে জেলে যেতেই হবে। করোনাকালে জেলবন্দি হওয়ায় প্রায় ১৪ দিন একা একটা কক্ষে থাকতে দেওয়া হয় রিয়াকে। খাবার বলতে রুটি আর ক্যাপসিকাম। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘করোনাকালের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের জন্যই ১৪ দিন জেলের একটা ঘরে সম্পূর্ণ একা রাখা হয়। আমাকে জিজ্ঞেস করা হত, দুপুরে খাব কি না। সত্যি বলতে এত খিদে পেত এবং ক্লান্ত থাকতাম যে, যা দেওয়া হত তাই-ই খেয়ে নিতাম। সেই সময় আমাকে রুটি আর ক্যাপসিকাম খেতে দেওয়া হত। সেটা কিন্তু তরকারির মতো ছিল তেমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। ছিল কেবলই ক্যাপসিকাম এবং জল।”

জেলবন্দি সময়ে বেশ কিছু জীবনবোধ তৈরি হয় তাঁর। নিজেকে এক এক সময় ভাগ্যবান বলেও মনে হয়েছে রিয়ার। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জেলবন্দি থাকাকালীন দেখেছি অনেক বন্দির পরিবারের সামর্থ্য নেই। ৫,০০০ কিংবা ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিল না। আমার তো তা-ও পরিবার এবং বন্ধুরা আছে। আমার নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হত।’’ শেষে রিয়ার সংযোজন, ‘‘জেলে যে মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, সেখানে নোংরা স্নানঘর এই সব বড্ড ছোট মনে হত। শারীরিক অসুবিধে কিছুই না যেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement