(বাঁ দিকে) সুশান্ত সিংহ রাজপুত এবং অঙ্কিতা লোখান্ডে, ভিকি জৈন। ছবি: সংগৃহীত।
ভিকি জৈন ও অঙ্কিতা লোখান্ডের অশান্তি কমার কোনও লক্ষণই নেই। সব ঠিক হতে না হতেই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় পৌঁছে যান তাঁরা। ভুল বোঝাবুঝি, কটু কথা, একে অপরকে অপমান, কিছুই বাদ দেননি দম্পতি।‘বিগ বস্ ১৭’-এর ঘরে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করেন অঙ্কিতা। তার পর থেকেই নিত্য অশান্তি। তাঁদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎও এখন প্রশ্নের মুখে। শিল্পপতি ভিকিকে বিয়ে করার আগে অঙ্কিতা ও সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সম্পর্কের চর্চা ছিল সর্বত্র। সাত বছর একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। কথা ছিল, বিয়ে করবেন। কিন্তু ভেঙে যায় সম্পর্ক। তার বছর তিনেকের মাথায় প্রয়াত হন সুশান্ত। তার পর বিয়ে করে সংসারী হন অঙ্কিতা। ভিকির সঙ্গে সুখে রয়েছেন তিনি, এমনটাই ধারণা ছিল সকলের। কিন্তু ‘বিগ বস্’-এর ঘরে প্রবেশ করতেই অন্য রূপ। বিভিন্ন সময় ‘বিগ বস্’-এর ঘরে প্রাক্তন প্রেমিকের কথা মনে পড়েছে অঙ্কিতার। এ বার সুশান্তকে নিয়ে মুখ খুললেন ভিকি।
সংসার ভাঙনের পথে এগোলেও প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে এখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অনর্গল কথা বলে যান অঙ্কিতা। কিন্তু তাতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অঙ্কিতা নাকি সমবেদনা আদায় করতেই সুশান্তের নাম আওড়াচ্ছেন। এ বার ‘বিগ বস্’-এর ঘরে প্রবেশ করতেই মেয়েকে সাবধান করে দিলেন অঙ্কিতার মা শ্বেতা লোখান্ডে। অঙ্কিতার স্বামী ভিকির উপর স্ত্রীর পাশে না দাঁড়ানোর জন্য লাগাতার অভিযোগ উঠেছে। এ বার অঙ্কিতাকে ভিকি মেজাজ খুইয়ে বলেন, ‘‘তোমার জন্য টিভির পর্দায় আমাকে খারাপ স্বামী হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তবে আমি তোমার জন্য কী করেছি, আশা করি তুমি জানো। তোমার আর সুশান্তের সম্পর্ক গোটা দেশের চর্চার বিষয়। কিন্তু তার জন্য আমাকে কম যন্ত্রণা পোহাতে হয়নি। মুখে বুজে সব সহ্য করেছি।’’ স্বামীর কথায় সম্মতি জানিয়ে অঙ্কিতা বলেন, ‘‘তুমি প্রতিটা মুহূর্তে আমাকে আমার পরিবারকে সঙ্গ দিয়েছো। সেটা অর্থনৈতিক ভাবে হোক কিংবা অনুভূতির দিক থেকে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির কাউকে দুঃখ দিতে চাই না।’’