রিয়া চক্রবর্তী এবং শৌভিক চক্রবর্তী।
চারজনের ছোট্ট পরিবার। স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে দিব্যি দিনযাপন হচ্ছিল সন্ধ্যা চক্রবর্তীর। মেয়ে রিয়া গ্ল্যামার জগতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নিলেন । মাত্র ১৭ বছর বয়সে হাতে মাইক নিয়ে এমটিভির অ্যাঙ্কর হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১২ সালে প্রথমে তেলুগু ছবি। তার পর এক লাফে বলিউড! সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা রিয়ার এই সাফল্যে বরাবর গর্বিত তাঁর মা।
তারপর, রবিবারের একটা দুপুর ঘুরিয়ে দিল জীবনের মোড়। প্রেমিক সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতে নাম জড়িয়ে যায় রিয়ার। সেই পাকদণ্ডী বেয়ে নেমে আসেন মাদক যোগের পাঁকে। জড়িয়ে পড়েন ছেলে শৌভিকও। এর পর তাঁদের ঠিকানা জেলের স্যাঁতস্যাঁতে গুমটি ঘর। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন, একটানা দোষারোপ, নেটিজেনদের ট্রোলে ক্ষতবিক্ষত সন্ধ্যার পরিবার। ২৮ দিন পর মেয়ে ছাড়া পেয়েছে জেল থেকে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন মা। রয়েছে দুশ্চিন্তাও। তাঁর কথায়, “রিয়া ছাড়া পাওয়ায় আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত। কিন্তু সমস্যা এখনও মিটে যায়নি। আমার ছেলে এখনও জেলে। জানিনা ওর সঙ্গে কী হবে। ভবিষ্যতে কী হবে ভেবে আমার চিন্তা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার ছেলেমেয়েরা জেলে কষ্ট পাচ্ছে ভেবে রাতে ঘুমোতে পারিনা। খেতে পারিনা। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। ভয় করে আবার কখন কী হয়ে যায়।”
আরও পড়ুন: করোনার এত সাহস মিমিকে ধরবে: অঙ্কুশ
সন্ধ্যাদেবী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের পরিবারকে শুধু কোণঠাসা করে দেওয়া হয়নি। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমিও আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু নিজেকে ঠিক রাখতে থেরাপির সাহায্য নিই। এখন এ রকম ভাবনা এলে আমার ছেলেমেয়েদের কথা মাথায় আসে। ওরা আরও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: রেটিং চার্টে আবার শীর্ষে ‘রাণী রাসমণি’, কীসের জোরে?
মেয়ে ছাড়া পেলেও ছেলে শৌভিকের জামিন মঞ্জুর করেনি বম্বে হাইকোর্ট। এখনও তাঁর দিন কাটছে জেলে । এ রকম অবস্থায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন না রিয়া-শৌভিকের মা। আজকে সান্তাক্রুজ থানায় জামিনের শর্তানুযায়ী হাজিরা দিতে দেখা গেছে ক্লান্ত বিধ্বস্ত রিয়াকে।