ছবি: সংগৃহীত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)। রিয়ার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক সঙ্গে রাখা, সেবন করা ও পাচার করার মতো একগুচ্ছ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবীর সঙ্গে মাদক চক্রের যোগ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। গতকালই তারা এই তদন্তে সাহায্যের জন্য এনসিবিকে ডেকেছিল। ইডি ও সিবিআইয়ের পরে এনসিবি তৃতীয় কেন্দ্রীয় সংস্থা, যারা সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যর তদন্তে নামল। তবে রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে এ দিনও দাবি করেছেন, ভুয়ো মাদক তত্ত্ব খাড়া করে তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। রিয়ার সঙ্গে কোনও মাদক পাচারকারীর যোগাযোগ নেই। এমনকি রিয়া সারা জীবন কোনও মাদক নেনওনি। কেন্দ্রীয় সংস্থা দু’টিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মানশিন্ডের দাবি, প্রয়োজনে রিয়ার রক্ত পরীক্ষা করুন গোয়েন্দারা। তা হলেই জানা যাবে, তিনি মাদক নেন, কি না।
এ দিন ইডি ফের ডিজ্ঞাসাবাদ করে রিয়ার ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের করা স্টিং অপারেশনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে সুশান্তের মৃত্যুর আগে-পরে কয়েক দিনের রিয়ার কল রেকর্ড। সেই রেকর্ড থেকে দেখা যাচ্ছে, সুশান্তের মৃত্যর দিন, অর্থাৎ ১৪ জুন এই জয়া সাহাকে দু’বার ফোন করেছিলেন রিয়া। তার পরের দিন, ১৫ জুন, তাঁদের মধ্যে পাঁচ বার ফোনে কথা হয়। সুশান্তের সঙ্গে লিভ-ইন করতেন রিয়া। কিন্তু ৮ জুন তিনি সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান। সেই মাঝের কয়েক দিনেও জয়ার সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েক বার করে কথা হয়েছে বলে কল রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রিয়ার চ্যাটে লেখা, ‘চার ফোঁটা দিলেই কিছু ক্ষণ পরে ওঁর নিশ্চিত নেশা’
আরও পড়ুন: গাঁজা ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন সুশান্ত, জানাল রিয়া-শ্রুতির হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট
জয়ার সঙ্গে কী কথা হত রিয়ার? সংবাদ চ্যানেলটির দাবি, রিয়া ও জয়ার কথোপকথনে ‘হার্ড ড্রাগ্স’, ‘এমডিএমএ’ ‘মারুজুয়ানা’ এ ধরনের নানা মাদক সম্পর্কিত শব্দ ছিল। যা থেকে ইডির গোয়েন্দাদের ধারণা হয়েছে, তাঁরা দু’জনেই মাদক চক্রে জড়িত। একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে জয়া রিয়াকে বলেছিলেন, ‘‘সুশান্তের চায়ে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দাও।’’ সেটাও মাদক সংক্রান্ত বার্তা ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। রিয়ার সঙ্গে গৌরব আর্য নামে এক মাদক পাচারকারীরও যে কথা হয়েছিল, তা জানতে পেরেছেন ইডি-র গোয়েন্দারা।
পর পর ছ’দিন সুশান্তের তিন সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। তাঁরা হলেন প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, পাচক নীরজ সিংহ ও রাত-দিনের পরিচারক দীপেশ সবন্ত। ১৪ জুন তাঁরা তিন জনেই বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ছিলেন। আজ সিদ্ধার্থকে ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।