কর্ণ জোহরের ব্যানারে ভূতের ছবি! শুনেই অনেকে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের ভয় যে অমূলক নয়, তা ছবির দ্বিতীয়ার্ধে প্রমাণ হয়ে গেল। ভূতের ছবিতে যে ‘গ্রিপ’ থাকার দরকার, নতুন পরিচালক ভানু প্রতাপ সিংহের ‘ভূত- পার্ট ওয়ান: দ্য হন্টেড শিপ’-এর চিত্রনাট্যে আগাগোড়াই তা অনুপস্থিত। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভূতের যে গল্প শোনানো হল, তার পরে ভিকি কৌশলও জাহাজকে আর ভাসিয়ে রাখতে পারলেন না।
ইদানীং হিন্দি ভূতের ছবি মানে খেলনা পুতুল, জোরে জোরে দরজা বন্ধ হওয়ার আওয়াজ আর শেষে তন্ত্র-মন্ত্র পড়ে ভূত তাড়ানো। বলিউডের চেনা ছকের বাইরে বেরোতে পারলেন না পরিচালক। যদিও ছবির প্রথমার্ধ ছকভাঙার আশা জাগায়। প্রথম থেকেই ছবির গতি শ্লথ। কয়েকটি দৃশ্য দেখে পিঠ টানটান করে বসলেও, পরের দৃশ্যেই আপনার পাশের সিট থেকে হাসির রোল শুনতে পাবেন। তবু দৃষ্টিভ্রম (হ্যালুসিনেশন) এবং ভূতুড়ে জাহাজের ইতিবৃত্ত নিয়ে একটু অন্য ধাঁচের গল্প বলা যেত। সে সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু তাঁর ঘরানার মেলোড্রামা ভূতের গল্পে গুঁজে না দিতে পারলে, তিনি কি আর কর্ণ জোহর থাকবেন? কাঁচা হাতে লেখা ভূতের ব্যাকস্টোরি এই জাহাজের ডুবে যাওয়ার মূল কারণ।
ভিকি কৌশল ছাড়া এ ছবিতে সকলেই পার্শ্ব চরিত্রে। ভূমি পেডনেকরের উপস্থিতি ছবি শুরুর গান আর দু’-তিনটি দৃশ্যে সীমাবদ্ধ। ভূত নয়, ভিকিই এই ছবি দেখার কারণ। শেষের কয়েকটি দৃশ্যে তাঁর দক্ষতা আরও এক বার প্রমাণ করে দিলেন অভিনেতা। তবে ভূত তাড়ানো প্রফেসরের চরিত্রে ভট্ট ক্যাম্পের প্রিয় আশুতোষ রানার বিকল্প খুঁজে পেল না ধর্মা হাউস।
ভূত-পার্ট ওয়ান: দ্য
হন্টেড শিপ
পরিচালনা: ভানুপ্রতাপ সিংহ অভিনয়: ভিকি, ভূমি, আশুতোষ
৪.৫/১০
ছবিতে আলো-আঁধারির খেলা, ভিএফএক্সের কাজ, জাহাজের সেট ডিজ়াইন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। তবে দৃশ্যে যত না গা-ছমছমে আবহ ছিল, তার চেয়ে বেশি জোরালো ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর দিয়ে দর্শককে ভয় পাওয়ানোর অযথা চেষ্টা করা হয়েছে। ছবির পার্ট ওয়ানের এই দশা হলে, পার্ট টু বানানোর সাহস কি দেখাবেন কর্ণ? যদিও এ সব ক্ষেত্রে তিনি অকুতোভয়!