অভিনেতা বিশ্বাবসু বিশ্বাস
বাবা হতে চলেছেন ‘রাণী রাসমণি’-র ভূপালচন্দ্র! আনন্দে আত্মহারা অভিনেতা। জীবনে প্রথম বার বাবা হওয়ার আনন্দটা টের পাচ্ছেন একটু একটু করে। কেমন লাগছে বিশ্বাবসু বিশ্বাসের? একটু ভয়, একটু আনন্দ মিশ্রিত অভিব্যক্তি হচ্ছে নাকি তাঁর?
আরে এ সব প্রশ্ন পরে হবে! হবু সন্তানের মা কে? তিনি কি এই ইন্ডাস্ট্রির? এ সব তথ্য ধোঁয়াশায় থাকলে তো মায়ের নাম শোনার জন্য প্রাণ-মন একটু আনচান করবেই।
না না, বিশ্বাবসু না! বাবা হচ্ছেন ভূপালচন্দ্র। বাস্তব জীবনে এখনও বিয়ে হয়নি তাঁর। তার আগেই সন্তানের জন্ম দিতে চান বলে তো মনে হল না বিশ্বাবসুর সঙ্গে কথা বলে। তাই গসিপে আপাতত ইতি।
ভূপালচন্দ্র ও প্রসন্নময়ী চরিত্রে সোমাশ্রী ও বিশ্বাবসু
‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে বড় মোড় আসতে চলেছে ‘সুন্দরবন পর্ব’-তে। হবু সন্তানের মা প্রসন্নময়ীরূপী সোমাশ্রী ভট্টাচার্য বড়ই প্রসন্নমুখে সেই খবরটি দিচ্ছেন পরিবারের সকলকে। ভূপালের দিদিমা ‘রাণী রাসমণি’ তো বেজায় খুশি। বাবা মথুরামোহন বিশ্বাস ও মা জগদম্বা তো আনন্দে আটখানা। বাড়িতে নতুন সদস্য আসতে চলেছে যে! কিন্তু হায়! একই দিনে খবর এল ভূপালকে বাঘে টেনে নিয়ে গেছে। দুঃসংবাদ পেতে না পেতেই জগদম্বা ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ‘রাণীমা’ দিতিপ্রিয়া ও মথুর গৌরব তাঁদের ঘরের ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
বাবা হওয়ার আনন্দ ও বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষত সামলে কেমন আছেন ভূপালচন্দ্র থুড়ি বিশ্বাবসু বিশ্বাস? কুশল জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করল আনন্দবাজার ডিজিটাল। অভিনেতা জানালেন, ‘‘সুন্দরবন পর্বের শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় এমন একটা সুখবর পাওয়ার আনন্দটা ঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারছি না। তবে প্রথম বার বাবা হওয়ার অভি়জ্ঞতাটা সবসময়েই অপূর্ব বোধহয়। সেটা রিল হোক বা রিয়্যাল। বাস্তবে এখনও হইনি বলে অতটা ভাল করে বলতে পারব না।’’ হেসে উঠলেন বিশ্বাবসু।
গল্পের মোড় প্রসঙ্গে অভিনেতা জানালেন, ‘ভূপাল-প্রসন্নময়ীর প্রেমের একটি পরিণতি পেতে চলেছে। কিন্তু সঙ্গে আশঙ্কাও রয়েছে। সব মিলে টান টান পর্বে ঢুকছে ধারাবাহিক’।
জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকে বিভিন্ন প্রজন্মের গল্প দেখানো হয়। রানিমার আগের প্রজন্ম। রানিমার প্রজন্ম। তার পরে তাঁর সন্তানদের। ফের তাঁদের সন্তানদের। এ বারে আর একটি নতুন প্রজন্মের গল্প শুরু হবে ভূপালচন্দ্র ও প্রসন্নময়ীর সন্তানের আগমনের মাধ্যমে।