রণবীর কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
ধর্মীয় বিষয় নিয়ে সেই ভাবে মতামত রাখতে দেখা যায় না রণবীর কপূরকে। কিন্তু আগামীতে ‘রামায়ণ’-এ রামের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বাস্তবে ধর্ম নিয়ে তাঁর কী মতামত? বার বার উঠে আসছে এই প্রশ্ন। এ বার এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা। জানালেন, সনাতন ধর্মের প্রতি নাকি তাঁর অগাধ আস্থা। প্রতি দিন নাকি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
রণবীর বলেন, “আমার বাবা খুবই ধার্মিক ছিলেন। মা বরং বাবার মতো ততটা ধার্মিক ছিলেন না। কিন্তু বাবা ধর্মচর্চা করতে ভালবাসতেন বলে, মা-ও সঙ্গ দিতেন। আমরা তখন ছোট। দেখতাম বাবা-মাকে। বাচ্চারা তো বাবা-মাকেই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তাই ঈশ্বর-ভাবনা আমার ভাল লাগে। আমি বহু আগেই বুঝতে পেরেছিলাম, আমার প্রার্থনার জোর আছে।”
অভিনেতা আরও বলেন, “ঈশ্বরের কাছে কিছু চাইলে, তা খুব সহজেই পেয়ে যেতাম। তাই খুব ছোট বয়সেই, আমি ঈশ্বরের কাছে কিছু চাওয়া বন্ধ করে দিই। হয়তো কোনও এক বর্ষার দিনের জন্য সেই প্রার্থনার সুযোগ বাঁচিয়ে রাখতাম। আমি আসলে নিজের সঙ্গেই কথা বলতাম। তবে, মনে আছে, সেই সময় থেকেই ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতাম।”
ঈশ্বরে অগাধ বিশ্বাস থাকলেও, নিজের জন্য কিছু চাইতেন না রণবীর। তিনি বলছেন, “এমনকি, খুব বিপদে পড়লেও আমি কিছু চাইতাম না ঈশ্বরের কাছে। ছবি সফল হোক, বা আমি যেন কিছু একটা জিনিস কিনতে পারি, এ সব নিয়ে আমি কোনও প্রার্থনা করিনি। ঈশ্বরের সঙ্গে যদিও আমার কৃতজ্ঞতার সম্পর্ক। এখন আমি যে জায়গায় আছি, তা নিয়ে আমি সত্যি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এটুকুই আমি বলতে পারি।”
সনাতন ধর্মের উপর বিশ্বাস নিয়ে অভিনেতা বলেন, “আমি সনাতন ধর্মের উপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছি। বেশ কয়েক বছর ধরে এই ধর্ম নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি। সনাতন ধর্মের প্রভাব কী, তা জানতে আমি গভীরে গিয়ে বিষয়টা দেখেছি।”