একরত্তি মেয়েকে কোলে নিয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিলেন না রণবীর। ছবি: সংগৃহীত।
চোখ মেলে প্রথম সে পৃথিবীর আলো দেখছে। আর তাকেও অবাক বিস্ময়ে দেখছে বাবা-মা। অদ্ভুত রোমাঞ্চকর মুহূর্ত, যা সদ্য এল আলিয়া ভট্ট এবং রণবীর কপূরের জীবনে। সেই অনুভূতি হাসি-কান্নায় মিলে একশা। ফুটফুটে রাজকন্যার মুখ দেখে আনন্দাশ্রু গোটা পরিবারের চোখে। কিন্তু রণবীর কান্না থামাতেই পারলেন না। এমন আবেগঘন মুহূর্ত তাঁর জীবনে এই প্রথম বলেই মনে করছেন ঘনিষ্ঠরা।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের এক ব্যক্তি জানালেন, রণবীরকে এতটা খুশি আর এত বিহ্বল আগে কেউ দেখেননি। একরত্তি মেয়েকে কোলে নিয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিলেন না অভিনেতা। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। মনে হচ্ছিল, অন্য মানুষ। সেই বেপরোয়া রণবীর এক লহমায় বদলে গেলেন পিতৃত্বের স্বাদ পেয়ে! তাঁকে দেখে কেঁদে ভাসালেন পরিবারের বাকি সদস্যরাও। আলিয়াও কেঁদে ফেললেন স্বামী আর সন্তানকে ছুঁয়ে। রণলিয়ার বুকভরা স্বপ্ন এত দিনে সত্যি করে তুলেছে নবজাতক। যেন পূর্ণতা পেল তাঁদের প্রেম, যার সূত্রপাত অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির সেটে। চলতি বছর ১৪ এপ্রিল গাঁটছড়া বাঁধেন জুটিতে।
তার পর সন্তান আগমনের খবর। আনন্দে মেতেছিল বলিউড। গত ৬ নভেম্বর তাঁদের ভালবাসার ফসল আলো করল দুই পরিবার। এখন শুধুই সামনে চলা। মহেশ জানান, তাঁর বংশে “নতুন সূর্যোদয়”। আর পারিবারিক বন্ধু কর্ণ জোহর? তিনিও যে ‘গর্বিত দাদু’! এক খোলা চিঠিতে ভালবাসা জানিয়েছেন রণলিয়ার কন্যাকে। এই রণলিয়াকেই যে ছোট থেকে বড় হয়ে উঠতে দেখেছেন তিনি! যেন এক গোটা যাত্রাপথ সম্পূর্ণ হল।