(বাঁ দিকে) সলমন খান। রাখি সবন্ত। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ সলমনের বাড়ির সামনে চলেছিল চার রাউন্ড গুলি। একটি এসে লাগে অভিনেতার জানলার পাশের দেওয়ালে। তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। মন্ত্রী থেকে বিধায়কদের আনাগোনা সলমনের বাড়িতে। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর দল। তারা শুধু ঘটনার দায় স্বীকারই করেনি, সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে অভিনেতাকে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ইতিমধ্যেই এক জন দুষ্কৃতীর পরিচয় জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন। যদিও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফ থেকে সলমনকে হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, ‘‘শেষবারে মতো সাবধান করছি। এর পর গুলি বাড়ির বাইরে নয়!’’ রবিবার থেকে মায়ানগরী উত্তাল এই ঘটনা নিয়ে। এ বার সলমনের হয়ে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাছে হাতজোড় করে কান্নাকাটি করলেন রাাখি।
এমনিতেই বলিউডের অন্দরে তাঁর নাম ‘ড্রামা কুইন’। এক মুহূর্তে তিনি কাঁদছেন পরমুহূর্তেই তিনি হাসছেন এমন নানা ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে দেখা যায় রাখির। যদিও সলমন খানের প্রতি বরাবরই তাঁর একটা আনুগত্য রয়েছে। বরাবরই সলমনকে ভাই বলে সম্বোধন করেন। অভিনেতার বাড়িতে গুলি চালানোর কাণ্ডে চিন্তায় তিনি। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ হাত জোড় করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন,‘‘ ওনাকে ছেড়ে দিন। দয়া করে ওঁকে মারবেন না। ওঁর এখনও পর্যন্ত নিজের সংসার হয়নি। ’’
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সলমনের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ সলমনকে খুনের হুমকি দেয় বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘খতমের তালিকা’য় রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সলমনের নাম। রবিবারের ঘটনা নাকি শেষবারের জন্য অভিনেতারে সাবধান করলেন তাঁরা। এ বার দেখার রাখির অনুরোধে আদৌ মনে গলে নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের!