(বাঁ দিক থেকে) রাজেশ খট্টর, নীলিমা আজ়িম, শাহিদ কপূর, ঈশান খট্টর, মীরা রাজপুত। ছবি: সংগৃহীত।
পঙ্কজ কপূরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী নীলিমা আজ়িম বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা রাজেশ খট্টরকে। ১৯৯০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তবে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২০০১ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদেরও। কোলে এসেছিল পুত্র ঈশান খট্টর। পঙ্কজ আর নীলিমার পুত্র শাহিদ কপূরকেও পিতৃস্নেহে বড় করেছিলেন রাজেশ। নীলিমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরও সৎছেলে শাহিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজেশ।
রাজেশের বর্তমান স্ত্রী বন্দনা সজনানী। তাঁর সঙ্গে দাম্পত্যে শেষমেশ থিতু হয়েছেন অভিনেতা। এত বন্ধন সত্ত্বেও নীলিমার সঙ্গে কেন দাম্পত্য টেকেনি, এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ঈশানের বাবাকে। এক সাক্ষাৎকারে রাজেশ মুখ খুলেছিলেন। কী ভাবে নীলিমার প্রেমে পড়েছিলেন, জানিয়েছিলেন সেই কাহিনিও।
কেন আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা, রাজেশ তার কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। তাঁর কথায়, বলেন, “পাঁচ-দশ বছর সম্পর্কে থাকার পর যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সমস্যাটা কোথায়, কেন বিচ্ছেদ হল, তার কোনও স্পষ্ট উত্তর হয় না। আমিও জানি না।”
নীলিমার সঙ্গে প্রেম নিয়ে অবশ্য গদগদ উত্তর মেলে রাজেশের মুখে। বলেছিলেন, “বন্ধুত্ব দিয়েই আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। শুটিংয়ের সেটে দেখা। তার পর প্রেম। একসঙ্গেই মুম্বইয়ে এসেছিলাম আমরা। চমৎকার সব স্মৃতি আছে আমাদের।”
রাজেশ জানান, এখনও নীলিমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে তাঁর। বললেন, “বন্দনা আর নীলিমাও ভাল বন্ধু। ওদের মধ্যেও ভাল যোগাযোগ রয়েছে।” বন্দনার সঙ্গে রাজেশ গাঁটছড়া বাঁধেন ২০০৮ সালে। বিয়ের ১১ বছর পরে জন্ম হয় তাঁদের পুত্রসন্তান বনরাজের। সব মিলে এক বৃহৎ পরিবার হয়ে মিলেমিশে আছেন কপূর এবং খট্টরেরা।